অধিকাংশ ধূমপানকারী জানে না ধূমপান করলে কি ক্ষতি হয়। ধূমপানের শারীরিক ক্ষতি নিয়ে অনেক আগে থেকেই অনেক গবেষণা চলছে এখনও চলছে।
ধূমপানের কুফল বা ধূমপানের অপকারিতাগুলো যদি জানা থাকে তবে অনেকেই ধূমপান ছেড়ে দেয়ার চিন্তা করতে পারে। ধূমপান করলে কি ক্ষতি হয় এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই লেখাটি থেকে।
ধূমপানের অপকারিতা বা ধূমপানের কুফলগুলো জানতে পারলে হয়তো ধূমপানের বিরুদ্ধে আপনার অবস্থান তৈরি হতে পারে।
আর দেরী না করে চলুন জেনে নেই, ধূমপান করলে কি ক্ষতি হয় বা ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কেন?
সুচীপত্র
- ধূমপান করলে কি ক্ষতি হয়?
- ১. ধূমপানের কারণে মৃত্যু
- ২. ক্যান্সার
- ৩. ফুসফুসের রোগ
- ৪. কার্ডিওভাসকুলার রোগ
- ৫. কিডনি রোগ
- ৬. মুখের ভিতরের রোগ
- ৭. ইনফ্লুয়েঞ্জা
- ৮. বন্ধ্যত্ব
- ৯. যৌন দুর্বলতা
- ১০. মানসিক চাপ বৃদ্ধি
- ১১. ব্রেইনের ক্ষতি
- ১২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
- ১৩. সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি
- ১৪. ঔষধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়
- ১৫. গর্ভের সন্তানের ক্ষতি
- ১৬. চোখে ছানি পড়া
- ১৭. চুলের ক্ষতি
- ১৮. ত্বকের ক্ষতি
- ১৯. বয়সের ছাপ পড়ে
- ২০. হাড় ক্ষয় রোগ
- ২১. ক্ষুদামন্দা
ধূমপান করলে কি ক্ষতি হয়?
ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হওয়ার অনেকগুলো বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে। প্রত্যেক মানুষকে ধূমপানের অপকারিতা বা ধূমপানের কুফলগুলো সম্পর্কে কিছুটা হলেও জেনে রাখা দরকার।
আসুন জেনে নেই, ধূমপান করলে কি ক্ষতি হয়?
১. ধূমপানের কারণে মৃত্যু
আপনি হয়তো জানেন না, সারা পৃথিবীতে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ধূমপানজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ধূমপান করে তারা ৬০ থেকে ৭০ বছরের পূর্বে মৃত্যুবরণ করার সম্ভাবনা প্রায় ৩ গুণ।
ধূমপায়ী পুরুষ তার জীবনের প্রায় ১৩ বছর আয়ু হারিয়ে ফেলেন অপরদিকে নারী ধূমপায়ী হারায় প্রায় ১৫ বছর। একটি সিগারেট একজন মানুষের প্রায় ১১ মিনিটের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে বলে অ্যামেরিকার একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।
২. ক্যান্সার
তামাকে শুধু নিকোটিন নামক ক্ষতিকর উপাদান থাকে না এতে রয়েছে অনেক ধরণের ক্ষতিকর উপাদান যা ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন তামাক ব্যবহারের ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয় ফুসফুসের। এছাড়াও খাদ্যনালীর ক্যান্সার, শ্বাসনালীর ক্যান্সার, কিডনি, প্যানক্রিয়াস, লিভার ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, মূত্রথলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপানের সাথে জরায়ু ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে। মোদ্দা কথা ধূমপানের কারণে পুরো শরীর আক্রান্ত হতে পারে।
ধূমপানের কুফল বা ধূমপানের অপকারিতাগুলোর মধ্যে ক্যান্সার হচ্ছে ভয়াবহ ক্ষতি।
জেনে নিন, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে যেসব খাবার
৩. ফুসফুসের রোগ
তামাকের মধ্যে নিকোটিনের পাশাপাশি অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কার্বন মনোক্সাইড, সায়ানাইড। এসকল বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান দীর্ঘদিন ফুসফুসে থাকার ফলে ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এসব বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান ফুসফুসের অ্যালভিওলাই এর সংকোচন এবং সম্প্রসারণের উপর মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করে ফলে এমফাইসিমা নামক জটিল রোগের সৃষ্টি হয়।
তামাকের মধ্যে অ্যাক্রলিন নামক ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকে যা ফুসফুসের ক্রনিক Chronic Obstructive Pulmonary Disease সৃষ্টি করে যা ফুসফুসকে অকেজো করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
৪. কার্ডিওভাসকুলার রোগ
কার্ডিওভাসকুলার রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, হৃদরোগ, স্ট্রোক, হার্ট ডিজিজ, অ্যাথেরোসক্লেরোসিস ইত্যাদি। তামাকের মধ্যে থাকা বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান নিকোটিন রক্তের স্বাভাবিক চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করে।
অনেক ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে যা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। হৃদরোগের কারণে পৃথিবীতে সব থেকে বেশি মৃত্যু ঘটে।
ধূমপান করার সময় রক্তনালী এবং হার্টে কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কারণ তামাকের ধোঁয়ায় কার্বন মনোক্সাইড থাকে যা রক্তের অক্সিজেন সরবরাহে বাঁধার সৃষ্টি করে।
এর ফলে ধূমপান করার এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যেই হার্টবিট বৃদ্ধি পেতে থাকে এই বেড়ে যাওয়ার পরিমাণ প্রথম ১০ মিনিটে প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। নিয়মিত ধূমপানের ফলে প্রান্তীয় রক্তনালীর রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
তামাকের মধ্যে এমন কিছু বিষাক্ত উপাদান রয়েছে যা রক্তনালীকে সরু করে দেয় ফলে ব্লকেজ এর সম্ভাবনা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায় এবং রক্তের সাধারণ চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করে যা হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।
অ্যামেরিকার এক দল গবেষক জানিয়েছেন, ধূমপানের ফলে হার্টের পেশীর কোষ বিভাজন মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয় এবং হার্টের আকার আকৃতিরও পরিবর্তন ঘটে।
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, ধূমপায়ীদের বার্জার’স রোগ হতে পারে। এই রোগের কারণে হাতে ও পায়ের শিরা ও ধমনীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
পাশাপাশি রক্ত জমাট বেঁধে যায় ফলে রক্তের স্বাভাবিক চলাচলে মারাত্মক বাঁধার সৃষ্টি হয় এবং এই বাঁধার ফলে ক্ষত তৈরি হতে পারে।
ধূমপানের শারীরিক ক্ষতির মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার রোগগুলো অনেক মারাত্মক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ একবার কার্ডিওভাসকুলার রোগ হয়ে গেলে সারাজীবন এই রোগ থেকে যায়, আর মৃত্যু ঝুঁকি তো আছেই।
৫. কিডনি রোগ
ধূমপান করলে কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায় সাথে কিডনির জটিল জটিল রোগের সৃষ্টি করে।
অ্যামেরিকার একটি গবেষণায় দেখা যায়, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেশি থাকে।
এছাড়াও ধূমপায়ীরা খুব অল্প বয়সে ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত হয়। ধূমপানের শারীরিক ক্ষতির মধ্যে কিডনি রোগ অনেক জটিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
৬. মুখের ভিতরের রোগ
আপনি কি জানেন! মুখগহ্বরের ক্যান্সারের প্রধান এবং অন্যতম কারণ হচ্ছে ধূমপান? মুখগহ্বরের ক্যান্সারের পাশাপাশি মুখের ভিতরে আরও অনেক রোগ হয়ে থাকে যেগুলোর প্রধান কারণ ধূমপান।
ধূমপানের কারণে দাঁতের ক্ষয় এবং দাঁতের রঙ পরিবর্তন হয়ে থাকে। দাঁতের চারিদিকে প্রদাহের অন্যতম কারণ ধূমপান। এছাড়াও মুখের বিশ্রী দুর্গন্ধ তো আছেই।
ধূমপানের কারণে লিউকোপ্লাকিয়া নামক জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে, ফলে মুখের ভিতরে মিউকাস ঝিল্লিতে ছত্রাকের মত সাদা দাগ দেখা দেয়।
৭. ইনফ্লুয়েঞ্জা
ইনফ্লুয়েঞ্জা আমাদের কাছে সাধারণ মনে হলেও ধূমপায়ীদের জন্য অনেক মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
অ্যামেরিকার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অধূমপায়ী মানুষের থেকে ধূমপায়ী মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক গুনে বেশী।
ধূমপায়ীরা ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্ত হলে তার তীব্রতা অনেক বেশী থাকে, বয়স্ক ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে মৃত্যু ঝুঁকিও রয়েছে।
৮. বন্ধ্যত্ব
যে নারীর সন্তান হয় না সেই আসলে বুঝে তার মনের বেদনা। কিন্তু কেউ যদি বন্ধ্যত্ব ডেকে নিয়ে আসে তাহলে তো আর কিছুই করার থাকে না।
নিয়মিত ধূমপান করছেন? কিন্তু জানেন কি! ধূমপান করা মানে বন্ধ্যত্বকে ডেকে নিয়ে আসা? ঠিক তাই, ধূমপায়ী নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যায় এবং পুরোপুরি বন্ধ্যা হওয়ার ঝুঁকি ৬০ শতাংশেরও বেশী।
এর কারণ হিসেবে গবেষকরা জানিয়েছেন, ধূমপান ডিম্বাশয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং খুব সহজেই সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
তামাকের মধ্যে থাকা নিকোটিন ও অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান ইস্ট্রোজেন হরমোন তৈরিতে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
এই ইস্ট্রোজেন হরমোন ডিম্বাশয়ে ডিম্বপাত নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডিম্বাশয়ে ফলিকল উৎপাদন করে। এছাড়াও ধূমপান করলে ভ্রূণের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং পাশাপাশি জরায়ুরও ক্ষতিসাধন করে থাকে।
জেনে নিন, সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণ
৯. যৌন দুর্বলতা
অ্যামেরিকার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের যৌন শক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৮৫ শতাংশ।
অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান করলে লিঙ্গ উত্থান বা শক্ত হয় না। ধূমপানের কারণে রক্ত নালী সরু হয়ে যায় ফলে এই ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে ধূমপায়ী ব্যক্তি।
১০. মানসিক চাপ বৃদ্ধি
আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে থাকেন ধূমপান করলে মানসিক চাপ কমে যায় বা টেনশন কমে যায়, এটি সম্পূর্ণরূপে একটি ভুল ধারণা।
ধূমপান করলে নিকোটিনের প্রভাবে সাময়িক ভালো লাগলেও পরবর্তীতে মানসিক চাপ প্রচুর মাত্রায় বেড়ে যায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ধূমপানের ফলে ধূমপায়ীদের মানসিক চাপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং যদি ধূমপান ছেড়ে দেয় তবে মানসিক চাপও ধীরে ধীরে কমে যায়।
ধূমপানের শারীরিক ক্ষতি হিসেবে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়াকে গবেষকরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
কারণ গবেষকরা মনে করেন মানসিক চাপের কারণে একজন মানুষ সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারে না এবং বিভিন্ন ধরণের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জেনে রাখুন, মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার উপায়
১১. ব্রেইনের ক্ষতি
ধূমপান মানুষের মস্তিষ্কের উপর মারাত্মক আকারের বিরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ধূমপানের ফলে মানুষের বোধশক্তি এবং সৃতিশক্তি দুটোই কমে যেতে পারে।
অনেক গবেষক মনে করে থাকেন, তামাক বা ধূমপানের কারণেই আলঝাইমার্স রোগ হয়ে থাকে। এছাড়াও ডিমনেশিয়া রোগের সৃষ্টি হতে পারে তামাক কিংবা ধূমপান থেকে।
কিশোর বয়সী ধূমপায়ীদের বোধশক্তি ও সৃতিশক্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি মস্তিষ্ক ছোট হয়ে যেতে পারে।
১২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে দেখা দিতে পারে ফুসফুসের সংক্রমণ, টনসিল ও সাইনানাইটিস এর মত নানা ধরণের রোগ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সাধারণ ঠাণ্ডা জর হলে অনেক দিন থাকে, সহজে সারতে চায় না। কেটে গেলে সহজে ঘা শুঁকাতে চায় না, নানা ধরণের চর্মরোগ দেখা দেয়।
ধূমপানের ফলে ফুসফুসের গাঠনিক পরিবর্তন হয়ে জটিল সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। প্রথম দিকে এগুলো সাধারণ মনে হলেও একটা সময় পর মারাত্মক জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে।
১৩. সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেশি, অপরদিকে অধূমপায়ীদের বিবাহ বিচ্ছেদের হার কম। ধূমপায়ীদের বিবাহ বিচ্ছেদের হার প্রায় ৫৩ শতাংশেরও বেশি।
আরও একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের হীনমন্যতায় ভোগার সম্ভাবনা অনেক বেশি, একারণে তারা সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে থাকে।
১৪. ঔষধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়
দীর্ঘদিন ধরে যারা ধূমপান করে তাদের শরীরে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায়। কারণ ধূমপান করলে লিভার হতে কিছু এনজাইমের নিঃসরণ বেড়ে যায়।
ফলে ওষুধের উপর প্রভাব বিস্তার করে ওষুধের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
১৫. গর্ভের সন্তানের ক্ষতি
অ্যামেরিকার এক দল গবেষক জানিয়েছেন, ধূমপানের সাথে গর্ভপাতের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপানে ভ্রূণের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। অনেক সময় কম ওজনের শিশুর জন্ম হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ধূমপান করলে বা সন্তান জন্মের পরে ধূমপান করলে নবজাতকের আচরণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক গবেষক মনে করে থাকেন, এতে সন্তান বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হতে পারে।
১৬. চোখে ছানি পড়া
নিয়মিত ধূমপানের ফলে অল্প বয়সে চোখে ছানি পড়তে পারে। এর কারণ হচ্ছে ধূমপান করলে চোখে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বৃদ্ধি পায়।
দীর্ঘদিন ধূমপান করার পর তা ত্যাগ করলেও চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।
১৭. চুলের ক্ষতি
ধূমপান চুলের মারাত্মক ক্ষতি ডেকে নিয়ে আসে। নিয়মিত ধূমপান করলে চুলের ফলিকলে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে ফলে চুলের গোড়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এমতাবস্থায় হেয়ার ফলিকল কমজোর হয়ে চুল ভেঙ্গে যায়। একারণে গবেষকরা বলেছেন, ধূমপান করলে মাথায় টাক পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
জেনে নিন, চুলের যত্নে জবা ফুলের ব্যবহার
১৮. ত্বকের ক্ষতি
ধূমপান ত্বকের উজ্জলতা কমিয়ে দেয়। কারণ, ধূমপান করলে শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দেয় ত্বক সতেজ এবং উজ্জ্বল রাখাতে ভিটামিন সি এর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ধূমপানের ফলে ত্বকের অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় ফলে ত্বকের ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং উজ্জলতা নষ্ট হয়ে যায়।
জেনে নিন, ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ
১৯. বয়সের ছাপ পড়ে
দীর্ঘদিন ধূমপান করলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে ফলে অল্প বয়সে বুড়িয়ে যায়। আপনার বয়স যদি ২৫ বছর হয় ধূমপান করলে মনে হবে আপনার বয়স ৩৫ বছর।
এছাড়াও ধূমপান করলে চেহারায় বলি রেখা দেখা দিতে পারে। চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে আজকে থেকেই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।
জেনে নিন, ধূমপান ছাড়ার সহজ উপায়
২০. হাড় ক্ষয় রোগ
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের হাড় ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এছাড়াও ধূমপানের সাথে বাত ব্যাথার একটি সম্পর্ক রয়েছে।
২১. ক্ষুদামন্দা
ধূমপান করলে ক্ষুদা কমে যায় অর্থাৎ খাওয়ার রুচি কমে যায়। অনেক সময় খাবারের স্বাদ পাওয়া যায় না। দীর্ঘদিন ক্ষুদা মন্দা থাকলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যায়।
আরও পড়ুন,
*লেখাটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো*
I believe you have observed some very interesting details, appreciate it for the post.
Dead written subject material, Really enjoyed examining.
Here is an excellent Blog You may Come across Intriguing that we Encourage You Pauly Herby Tarah
I appreciate you sharing this blog post. Thanks Again. Really Great. Madelene Hillary Wasserman
Thank you so much for sharing this amazing place in the coast of italy, the amalfi coast is definitively on my list next time I visit Europe! looking forward for your next entries! Morgen Ogden Changaris
এতো এতো অপকারিতা থাকা সত্তেও মানুষ কেন যে সিগরেট খায় আমার মাথায় আসে না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার লেখা অব্যাহত থাকুক এটাই কামনা।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
নতুন নতুন লেখা পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
আপনার লেখাটি অনেক মনোযোগ সহকারে পুরোটাই পড়েছি।
অনেকগুলো পয়েন্ট আমি নোট করে রেখেছি। নিজে এবং অন্যকে টিপস প্রদান করতে পারব।
লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন উপকারী একটি লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার লেখা অব্যহত থাকুক এটাই কামনা করছি।
কী ভয়ানক ব্যাপার! এতো এতো অপকারিতা থাকা সত্তেও আমরা ধূমপান করি।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।