গরমকালে রোদ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক তবে তা ত্বকের উজ্জলতার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তীব্র গরমে কিংবা রোদে ত্বক ধীরে ধীরে তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে তাই এই সময়টাতে কিছুটা বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে।
ত্বকের তেল তেলে ভাব এবং শুষ্কতা উভয়েই ত্বকের জন্য হুমকি আর এমনটা গরমকালে দেখা দিতে পারে।
ত্বকের তেল তেলে ভাব অর্থাৎ তৈলাক্ত অবস্থা সাধারণত প্রচুর ঘামের কারণে হয়ে থাকে। এই তৈলাক্ত অবস্থা যদি বেশী হয় তবে বাইরের ধুলো বালি ত্বকের সাথে আটকে যায় খুব সহজে। যার ফলে ব্রণের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও গরমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যাওয়ার কারণে ত্বকে পানি অল্পতা দেখা দেয় এতে করে ত্বক তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে শুস্ক হয়ে ওঠে।
এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করা যেতে পারে কিছু ভেষজ ফেইস প্যাক। ভেষজ হওয়ার কারণে এসব ফেইস প্যাক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। এর পাশাপাশি কিছু টেকনিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
আসুন তাহলে জেনে নেই, গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার কিছু কার্যকরী উপায়।
গরমে ত্বক উজ্জ্বল রাখার উপায়
প্রথমে আমরা কিছু ফেইস প্যাক বানানোর প্রক্রিয়া, ব্যবহার বিধি এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানবো।
১. বেসন এবং হলুদের ফেইস প্যাক
প্রয়োজনীয় উপাদান
-
-
- এক চা চামচ বা অর্ধেক চা চামচ হলুদের গুড়ো
- চার চা চামচ বেসন
- কাচা দুধ (পরিমাণ মতো)
- পানি (পরিমাণ মতো)
-
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে চার চা চামচ বেসনের সাথে এক বা হাফ চা চামচ হলুদের গুড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এতে সমপরিমান পানি এবং কাচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। ব্যাস হয়ে গেল বেসন এবং হলুদের সহজ ফেইস প্যাক।
ব্যবহার বিধি
তৈরি করা পেস্ট অথবা মিশ্রণটি মুখে সমানভাবে লাগিয়ে নিন এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি ঠাণ্ডা পানি না থাকে তবে নরমাল পানিও ব্যবহার করতে পারবেন।
কার্যকারিতা/উপকারিতা
হলুদের মধ্যে অনেক উপাদান আছে যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। যেমন অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান অর্থাৎ প্রদাহ নাশক উপাদান, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, কারকিউমিন ইত্যাদি।
উপরোক্ত উপাদানগুলো থাকার কারণে এই ফেইস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বকে কোলাজেন বেড়ে যায় ফলে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ
২. অ্যালোভেরা এবং হলুদের ফেইস প্যাক
প্রয়োজনীয় উপাদান
-
-
- হাফ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো
- অ্যালোভেরা জেল
- দুই চা চামচ দুধ অথবা দুধের সর
-
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে হাফ চা চামচ হলুদের গুঁড়োর সাথে পরিমাণ মতো অ্যালোভেরার জেল ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
তারপর ২ টেবিল চামচ দুধ অথবা দুধের সর মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই কাজ দুটো করলেই তৈরি হয়ে যাবে অ্যালোভেরা জেল এবং হলুদের ফেইস প্যাক।
ব্যবহার বিধি
অ্যালোভেরা এবং হলুদের ফেইস প্যাক তৈরি যেমন খুবই সহজ ঠিক তেমনি এর ব্যবহার আরও বেশি সহজ।
আপনার তৈরি করা পেস্ট ভালোভাবে ত্বকে মাখিয়ে নিন এবং তা ২৫ থেকে ৩০ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কার্যকারিতা/উপকারিতা
অ্যালোভেরার উপকারিতা আমরা কমবেশি হয়তো সবাই জানি। তবুও কিছু উপকারিতার কথা না বললেই নয়।
অ্যালোভেরায় প্রায় ৯৭ থেকে ৯৮ শতাংশ পানি থাকে তাই এটি ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। ৯৭ থেকে ৯৮ শতাংশ পানি থাকলেও এতে রয়েছে অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল একশান, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, এছাড়াও রয়েছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট।
এসব উপাদানে ভরপুর হওয়ার কারণে অ্যালোভেরা ব্যবহারের ফলে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়।
এছাড়াও চেহারা থেকে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করে এবং পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
আর হলুদের উপকারিতা তো আমরা পূর্বেই জেনেছি।
জেনে নিন,
৩. টক দই এবং শসার ফেইস প্যাক
প্রয়োজনীয় উপাদান
-
-
- দুই থেকে তিন টেবিল চামচ টক দই
- একটি ছোট কচি শসা
-
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে শসাটিকে পাতলা কুচি করে নিতে হবে তারপর ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ টক দইয়ের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে টক দই এবং শসার ফেইস প্যাক।
ব্যবহার বিধি
শসা এবং টক দইয়ের ফেইস প্যাক তৈরি করা যেমন সহজ ঠিক তেমনি এর ব্যবহারও অনেক সহজ।
আপনার তৈরি করা প্যাকটি ত্বকের উপরে ৮ থেকে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অনেকের বাসায় ঠাণ্ডা পানি পাওয়া না গেলে নরমাল খাবার পানিও ব্যবহার করতে পারবেন।
কার্যকারিতা/উপকারিতা
আমরা অনেকেই জানি শসাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ফ্রী র্যাডিক্যাল ধংশ করে দেয়।
টক দই এবং শসা দিয়ে তৈরি প্যাকটি ব্যবহার করলে ত্বকের কালো দাগ দূর হয় যে কালছে দাগ রোদের কারণে হয়ে থাকে।
এছাড়াও এই প্যাকটি ব্যবহার করলে ত্বককে কোমল এবং নরম তুলতুলে করে তোলে। পাশাপাশি ত্বকের অতিরিক্ত তেল অপসারণ করে প্রয়োজনীয় আদ্রতা ধরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
জেনে রাখুন,
৪. বেসন, মধু এবং দুধের ফেইস প্যাক
প্রয়োজনীয় উপাদান-
-
-
- এক চা চামচ বেসন
- দুই চা চামচ দুধ
- এক চা চামচ মধু
-
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে দুই চা চামচ দুধ এবং এক চা চামচ মধু একসাথে করে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে তারপর সেই মিশ্রণে এক চা চামচ বেসন মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
ব্যবহার বিধি
প্যাকটি তৈরি করা যেমন সহজ এর ব্যবহার বিধিও অনেক সহজ। প্যাক তৈরি করা হয়ে গেলে তা ত্বকে মাখিয়ে নিন।
তারপর ২০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর যদি দেখেন যে পেস্টটি শুকিয়ে গিয়েছে তাহলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে একবার অথবা দুইবার ব্যবহার করা যেতে পারে এই প্যাকটি।
কার্যকারিতা/উপকারিতা
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে দুধের ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। আমরা অনেক গল্পের মাধ্যমে জানতে পারি প্রাচীন কালের রাজা রাণীরা দুধ দিয়ে গোসল করতো।
যাই হোক দুধ এবং মধু ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা তো বৃদ্ধি করবেই।
আরও জেনে নিন,
৫. ব্রাইটেনিং মাস্ক এবং টমেটোর ফেইস প্যাক
প্রয়োজনীয় উপাদান
-
-
- এক টেবিল চামচ ব্রাইটিং মাস্ক
- একটি টমেটো
- ২ থেকে ৩ ফোঁটা লেবুর রস
-
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে টমেটোটিকে ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে টমেটো এর ছাল তুলে নিলে ভালো হয়।
তারপর টমেটো পেস্ট এর সাথে ২ থেকে ৩ ফোঁটা লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ ব্রাইটিং মাস্ক ভালোভাবে মিশিয়ে নিলেই এই প্যাকটি তৈরি হয়ে যাবে।
ব্যবহার বিধি
প্যাকটি তৈরি করা হয়ে গেলে খুব বেশী সময় অপেক্ষা না করে তাড়াতাড়িই ত্বকে লাগিয়ে নিন।
ভালোভাবে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বাসায় ঠাণ্ডা পানি পাওয়া না গেলে কলের নরমাল পানি ব্যবহার করতে পারবেন, তবে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করতে পারলে ভালো।
এই প্যাকটি সপ্তাহে একবার অথবা সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারবেন।
কার্যকারিতা/উপকারিতা
ত্বকের যত্নে টমেটোর কোন জুড়ি নেই। ত্বক উজ্জ্বল রাখতে টমেটোর ব্যবহার বহুকাল ধরে চলে আসছে।
এই প্যাকটি ব্যবহারে রোদের কারণে কালো দাগ দূর করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
এতে দেয়া ব্রাইটেনিং মাস্ক আরও বেশী উজ্জ্বলতা প্রদান করবে। ব্রাইটেনিং মাস্ক বাজারে বা বিভিন্ন অনলাইন শপগুলোতে কিনতে পাওয়া যায়।
পড়ে নিন,
৬. মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক
প্রয়োজনীয় উপাদান
-
-
- এক চিমটি হলুদের গুড়ো
- এক টেবিল চামচ চন্দনের গুড়ো
- দুই টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
- দুই টেবিল চামচ টমেটোর রস
-
প্রস্তুত প্রণালী
এই প্যাকটি তৈরি করতে খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন পরে না। আপনি চাইলে সবগুলো একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন অথবা একটি একটি করে মিশিয়েও তৈরি করতে পারেন।
ব্যবহার বিধি
প্যাকটি তৈরি করা হয়ে গেলে সমভাবে ত্বকে লাগিয়ে নিন। ত্বকে লাগানোর পর এটি শুকাতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
তাই শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কার্যকারিতা/উপকারিতা
আমরা কম বেশি সবাই জানি যে, মুলতানি মাটি ব্রণের কঠিন দাগ দূর করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি মুখে ব্রণ উঠা প্রতিরোধ করে। তাই এর ব্যবহার অনেকেই করে থাকে।
অপরদিকে ত্বকের যত্নে চন্দনের গুরুত্ব তো আমরা সবাই জানি, হলুদের উপকারিতা পূর্বেই বর্ণনা করা হয়েছে।
চন্দন এবং হলুদ ত্বকের কালছে দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে শুধুমাত্র ফেইস প্যাক এর উপর ভরসা করলে হবে না। এর পাশাপাশি কিছু কিছু কাজ আপনাকে করতেই হবে।
আসুন এবার জেনে নেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
আরও পড়ুনঃ
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস
ফেইস প্যাক আপনাকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং রোদের কারণে যে কালো দাগ পড়ে সে কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
কিন্তু ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে আপনাকে কিছু কাজ অবশ্যই করতে হবে তা না হলে ফেইস প্যাকের ব্যবহার দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
আসুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করা প্রয়োজন। অল্প পানি পান করা কিডনি রোগের কারণ।
কম পানি পান করার ফলে ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক দেখাবে সাথে কালছে রং ধারণ করবে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে।
ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়না এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত পানি পান করার পাশাপাশি লেবুর সরবত বা বিভিন্ন ধরণের ফলের জুস খেতে পারেন। এখান থেকে জেনে নিতে পারেন পানি পান করার উপকারিতা।
২. নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করা
এক্সফোলিয়েট শব্দটির সাথে অনেকেই পরিচিত নাও থাকতে পারেন। এক্সফোলিয়েট শব্দটি ইংরেজি যার বাংলা অর্থ হচ্ছে তুলে ফেলা, ছাল ওঠা, স্তরে স্তরে উঠে আসা ইত্যাদি।
কিন্তু এখানে ব্যবহার হয়েছে ভিন্ন অর্থে। মানুষের শরীরে প্রতি ২৭ থেকে ৩০ দিন পরপর ত্বকের কোষ মরে গিয়ে সেখানে নতুন কোষের জন্ম নেয়।
এই মৃত কোষগুলো মূলত ত্বকের সাথেই লেগে থাকে এবং সেই মৃত কোষগুলোকে যদি তুলে ফেলা না হয় তবে ধীরে ধীরে তা কালছে রং ধরণ করে ফলে ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়।
এই মৃত কোষগুলোকে তুলে ফেলার প্রক্রিয়াকে বলা হয়ে থাকে এক্সফোলিয়েট। ত্বক সতেজ রাখতে সপ্তাহে অন্তত দুইবার এক্সফোলিয়েট করা জরুরী।
এতে করে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে, ত্বক সতেজ থাকে, কালছে ভাব দূর হয়ে যায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
৩. নিয়মিত গোসল করা
গরমকাল বলুন আর শীত কাল বলুন নিয়মিত গোসল করা শরীরের জন্য উত্তম। অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিয়মিত গোসল করা।
আবার গরমের দিনে গোসল করলে শরীর আরাম বোধ করে। এর পেছনেও রয়েছে বেশ কিছু কারণ, যেমন শরীরের ত্বক পানি অল্পতা যা হয়ে থাকে অতিরিক্ত ঘামের কারণে।
তাই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বক তার স্বাভাবিক আদ্রতা ফিরে পায় এবং ত্বক আরাম বোধ করে পাশাপাশি ত্বক সতেজ থাকে। আর ত্বক সতেজ থাকলে তো ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
জেনে নিন,
৪. নিয়মিত ময়শ্চারাইজ করা
গরমের দিনে নিয়মিত ময়শ্চারাইজ করলে ত্বক থাকে সতেজ এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে ফলে ত্বকে কালছে দাগ পড়ে না।
ঘুমনোর পূর্বে, সকালে, গোসলের পরে পুরো শরীর ময়শ্চারাইজ করতে পারেন। সব থেকে ভালো হয় গোসলের পরে ময়শ্চারাইজ করা তাতে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে।
৫. নিয়মিত শরীরচর্চা করা
সুস্থভাবে জীবন যাপন করার জন্য শরীরচর্চার ভূমিকা অপরিসীম, এ কথা তো আমরা কম বেশি সবারই জানা।
কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না যে, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ত্বক সতেজ থাকে কারণ নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ত্বকে ব্লাড সার্কুলেশন অর্থাৎ রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি হওয়ার অর্থ হচ্ছে ত্বকে বেশি বেশি পুষ্টি এবং অক্সিজেন পৌছানো। এতে ত্বকের কোষগুলো সুস্থ থাকে।
নিয়মিত শরীরচর্চা ত্বকে কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে পাশাপাশি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ
আমরা অনেকেই মনে করে থাকি শুধুমাত্র ফেইস প্যাক ব্যবহার করলে অথবা শুধুমাত্র ব্যায়াম, পানি পান করলেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা সম্ভব।
কিন্তু আসলে তেমনটা হয় না। ফেইস প্যাক ব্যবহারের পাশাপাশি অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করা, নিয়মিত শরীর চর্চা করা নিয়মিত গোসল করা প্রয়োজন।
তো বন্ধুরা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার বেশ কিছু কার্যকরী ফেইস প্যাক এবং পাশাপাশি গরমে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার টিপস জানতে পারলাম। আজ এই পর্যন্ত আগামীতে দেখা হবে নতুন কোন টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এটাই কামনা। আর হ্যাঁ লেখাটি আপাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু!