ভিডিও এডিট করা বিষয়টা মাথায় আসলেই অনেকেই মনে করে থাকেন এটা তো বড় ধরণের সফটওয়্যার ছাড়া সম্ভব নয়। এছাড়াও প্রয়োজন হবে কম্পিউটারের।
এমন ধারণা এখন বদলে গেছে। আপনার কাছে যদি একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল বা স্মার্টফোন থাকে তবে খুব সহজেই যে কোন ভিডিও মনের মতো করে এডিট করা যায়।
তবে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং কম্পিউটারের মাধ্যমেই করতে হয়। লং টাইমের ভিডিও এডিট করার জন্য অনেক সফটওয়্যার আছে কম্পিউটারের জন্য। স্মার্টফোনের জন্য রয়েছে অনেক অ্যাপ যার দ্বারা খুব সহজেই ভিডিও এডিট করা যায়।
কিছু কিছু মোবাইল অ্যাপ আছে যেগুলো টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয় আবার কিছু কিছু অ্যাপ আছে যেগুলো একদম ফ্রী অর্থাৎ কিনে নেয়ার ঝামেলা নেই।
এই ফ্রী ভিডিও এডিটিং অ্যাপ গুলো দিয়ে ভিডিও তৈরি করে খুব সহজেই ভিডিও এডিট করা যায় এবং তা ইউটিউব বা যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা যায়।
আসুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই, স্মার্ট ফোনের জন্য সেরা ১২ টি ফ্রী ভিডিও এডিটিং অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত।
সুচীপত্র
- অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য সেরা ১২ টি ফ্রি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ
- ১. অ্যাকশন ডিরেক্টর- ActionDirector
- ২. ফিল্মওরাগো- FilmoraGo
- ৩. অ্যাডোব প্রিমিয়ার ক্লিপ- Adobe Premiere Clip
- ৪. পাওয়ার ডিরেক্টর- PowerDirector
- ৫. কাইনমাস্টার- KineMaster
- ৬. কুইক – Quik
- ৭. ভিডিওশো- VideoShow
- ৮. ফানিমেট – FuniMate
- ৯. ম্যাজিস্টো ভিডিও এডিটর – Magisto Video Editor
- ১০. Film Maker – Movie Maker
- ১১. ভাইভাভিডিও – VivaVideo
- ১২. উইভিডিও – WeVideo
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য সেরা ১২ টি ফ্রি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ
১. অ্যাকশন ডিরেক্টর- ActionDirector
যারা 4k সাপোর্ট করে এমন ভিডিও তৈরি বা এডিট করতে চান তারা খুব সহজেই এই অ্যাপ দিয়ে করতে পারবেন। এই অ্যাপটিতে বেশ কিছু প্রফেশনাল মানের ফাংশন রয়েছে। যেমন-
-
-
- ভিডিও হাইলাইটিং
- স্লো মোশন
- ফাস্ট মোশন
- স্পিড এডিট
- ভিডিও স্টাবিলাইজার ইত্যাদি।
-
এছাড়াও অ্যাপটিতে রয়েছে
-
-
- ট্রানজিশন
- ফিল্টার
- ইফেক্ট
- মিউজিক
- ভিডিও কাটিং অপশন
- ভিডিও ট্রিমিং
- থিম ইত্যাদি
-
অ্যাপটির স্পেশাল কিছু ফিচার আছে। যেমন-
-
-
- এই অ্যাপ এর মাধ্যমে 4k ভিডিও খুব সহজেই এডিট করা যায়।
- বিভিন্ন ধরণের কালার
- ভিডিও এর ব্রাইডনেস বাড়ানো কমানোর অপশন
- রয়েছে কন্ট্রাস্ট অপশন
- স্যাচুরেশন অপশনের পাশাপাশি রয়েছে এডজাস্টমেন্ট করার অপশন।
- ১০ টিরও উপরে রয়েছে ট্রানজিশন।
-
এখন প্রশ্ন হল ডাউনলোড করা যাবে কীভাবে?
গুগল প্লে স্টোর থেকে খুব সহজেই একদম ফ্রীতে ডাউনলোড করা যাবে। গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ActionDirector লিখে সার্চ দিলেই অ্যাপটি সামনে চলে আসবে। অন্যান্য অ্যাপ এর মতো করেই ইন্সটল করে নিতে পারবেন খুব সহজে।
অথবা নিচের লিংক থেকে সরাসরি ডাউনলোড করতে পারবেন-
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.cyberlink.actiondirector&hl=en&gl=US
আরও পড়ুন,
২. ফিল্মওরাগো- FilmoraGo
জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর মধ্যে FilmoraGo অন্যতম। গুগল প্লে স্টোরে এর রেটিং ৪.৬ এবং পজিটিভ রিভিউ প্রায় ৭ লক্ষ।
FilmoraGo অ্যাপটিরও রয়েছে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং ফিচার। আসুন দেখে নেয়া যাক কি কি বৈশিষ্ট রয়েছে এই জনপ্রিয় অ্যাপটিতে।
-
-
- রয়েছে চোখ ধাঁধানো থিম,
- ভিডিও ট্রিমিং অপশন,
- মন মাতানো মিউজিক,
- ভিডিও কাটিং অপশন
-
আপনি যদি বিভিন্ন অনুপাতে ভিডিও এডিট করতে চান তবে সেটিও করতে পারবেন খুব সহজেই। অনেকে ইউটিউবের জন্য ১৬ঃ৯ অনুপাতে ভিডিও এডিট করতে চান সে কাজটিও খুব সহজেই করতে পারবেন।
অনেকে আবার ইন্সট্যাগ্রামের জন্য ১ঃ১ অনুপাতে ভিডিও এডিট করতে চান সেটিও অনায়াসে করা যাবে এই অ্যাপটির মাধ্যমে।
ভিডিওকে অনেক বেশি প্রাণবন্ত করতে এবং অনেক বেশি আকর্ষণীয় করতে রয়েছে বেশ কিছু প্রফেশনাল মানের ফিচার। যেমন-
-
-
- ফাস্ট মোশন
- স্লো মোশন
- ট্রানজিশন
- টেক্সট এর ব্যবহার ইত্যাদি।
-
এছাড়াও এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর বেশ কিছু স্পেশাল ফিচার রয়েছে। যেমন-
-
-
- চোখ ধাঁধানো টেম্পলেট
- ভিডিও ইফেক্ট লাইব্রেরী
- যাবতীয় ভিডিও এডিট করার টুলস
- রিয়েল টাইম প্রিভিউ
- অ্যাপ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার সুবিধা। ইত্যাদি।
-
ভিডিও এডিট করে আপনি চাইলে সরাসরি আপনার গ্যালারীতে সংরক্ষণ করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে অ্যাপ থেকে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিতে পারবেন।
ডাউনলোড করার জন্য খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। অন্যান্য সাধারণ অ্যাপ এর মতই গুগল প্লে স্টোর থেকে FilmoraGo লিখে সার্চ দিলেই আপনার সামনে চলে আসবে মুহূর্তেই।
অথবা নিচের লিংক থেকে সরাসরি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.wondershare.filmorago&hl=en&gl=US
আরও পড়ুন,
৩. অ্যাডোব প্রিমিয়ার ক্লিপ- Adobe Premiere Clip
সেরা ভিডিও এডিট করার অ্যাপগুলোর মধ্যে আরও একটি সহজ অ্যাপ হচ্ছে Adobe Premiere Clip। ২০১৫ সালে অ্যাডোব এই অ্যাপটি ইউজারদের জন্য নিয়ে আসে।
এই Adobe Premiere Clip অ্যাপটির বিশেষত্ব হচ্ছে, ব্যবহার অনেক সহজ এবং অনেক দ্রুত ভিডিও এডিট করা যায়।
অন্যান্য অ্যাপগুলোর মতো এই অ্যাপটির একটি বেস্ট ফিচার হচ্ছে ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি।
অর্থাৎ আপনি যদি ছবি বা ভিডিও সিলেক্ট করে দেন তবে অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও তৈরি করে দিতে পারবে।
এছাড়া আরও কিছু চমৎকার ফিচার আছে। যেমন-
-
-
- মন মাতানো মিউজিক
- ভিডিও ইফেক্ট অপশন
- ফিল্টার অপশন
- চোখ ধাঁধানো থিম
- ভিডিও কাটিং অপশন
- ভিডিও ট্রিমিং অপশন
- ট্রানজিশন অপশন ইত্যাদি।
-
উপরোক্ত ফিচারগুলো ছাড়াও এর বেশ কিছু স্পেশাল ফিচার রয়েছে। যেমন-
- অটো অডিও মিক্স ফিচার
- অটোম্যাটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি
- ভিডিও অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো সিসিতে এক্সপোর্ট করার সুবিধা ইত্যাদি।
আপনি চাইলে খুব সহজে Adobe Premiere Clip ব্যবহার করতে পারবেন সাথে আপনি চাইলে অ্যাপ থেকে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারবেন এবং চাইলে আপনার গ্যালারীতেও শেয়ার করতে পারবেন।
আপনি চাইলে নিচের লিং ব্যবহার করে খুব সহজে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
https://adobe-premiere-clip.en.softonic.com/android
অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে সরাসরি সার্চ করে সেখান থেকেও খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
জেনে নিন,
৪. পাওয়ার ডিরেক্টর- PowerDirector
জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর মধ্যে PowerDirector অ্যাপটি অনেক বড় জায়গা দখল করে আছে। এর উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে অ্যাপটি ব্যবহার করা অনেক সহজ।
ফুলি ফিচার্ড ভিডিও এডিটিং অ্যাপ হচ্ছে PowerDirector যার মধ্যে রয়েছে টাইমলাইন ইন্টারফেইস ব্যবহারের সুবিধা।
PowerDirector অ্যাপটির ব্যবহার সহজ হলেও কিছু কিছু ফাংশন পুরোপুরিভাবে কন্ট্রোল করতে বেশ কিছু সময় আপনাকে দিতে হতে পারে।
এই অ্যাপটি ব্যবহারে একবার পারদর্শী হয়ে গেলে খুব সহজেই প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করা, কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে ইফেক্ট রিচ এমনকি ইউটিউবের ভিডিও অথবা ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করা যাবে।
এই অ্যাপটির ফ্রী এবং পেইড দুটি ভার্সনেই আছে। ফ্রী ভার্সন ব্যবহার করেই প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করা যায়। আর পেইড ভার্সনে বেশ কিছু স্পেশাল ফিচার তো থাকবেই, যেহেতু টাকা দিয়ে কিনতে হবে।
অ্যাপটিতে বিশেষ কিছু ফিচার আছে। যেমন-
-
-
- অ্যাড এর ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকা যাবে
- ওয়াটার মার্ক রিমুভ করা যাবে
- 4K ভিডিও এক্সট্রাক্ট করা যাবে
- 1080P ভিডিও এক্সট্রাক্ট করা যাবে
- ৪.৫ থেকে শুরু করে অ্যান্ড্রয়েডের সকল ভার্সনে ব্যবহার করা যাবে
-
প্রতিটি অ্যাপ এর কিছু স্পেশাল ফিচার থাকে ঠিক তেমনি PowerDirector ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এরও রয়েছে বেশ কিছু স্পেশাল ফিচার। যেমন-
-
-
- ক্রোমা (Chroma) কী সিলেক্টর সমর্থন করে।
- খুব সহজে স্লো মোশন ভিডিও তৈরি করা যায়
- খুব সহজে ফাস্ট মোশন ভিডিও তৈরি করা যায়।
- 4K রেজুলেশনের ভিডিও তৈরি করা যায় এবং এক্সপোর্ট করা যায়।
-
অন্যান্য অ্যাপ গুলোর মতই গুলগ প্লে স্টোর থেকে PowerDirector অ্যাপটি খুব সহজে ডাউনলোড করা যাবে।
অথবা আপনি চাইলে নিচের লিংক থেকেও খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারেন PowerDirector ভিডিও এডিটিং অ্যাপটি।
ডাউনলোড লিংকঃ
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.cyberlink.powerdirector.DRA140225_01&hl=en&gl=US
জেনে নিন,
৫. কাইনমাস্টার- KineMaster
টপ রেটেড ভিডিও এডিটিং অ্যাপ গুলোর মধ্যে KineMaster ভিডিও এডিটিং অ্যাপ অন্যতম। এই অ্যাপটির পজিটিভ রিভিউ সংখ্যা প্রায় ৪৮ লক্ষ।
বেশ কিছু সহজ ফিচার এবং ইন্টারফেইস এর জন্য KineMaster অ্যাপটি ইউজারদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়।
এই অ্যাপটিতে রয়েছে ড্রাগ এন্ড ড্রপ ফিচার যার মাধ্যমে খুব সহজেই মিডিয়া ফাইল খুব সহজেই ইম্পোর্ট করতে পারবেন।
আপনি যদি খুব দ্রুত প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিট করতে চান তাহলে KineMaster ভিডিও এডিটিং অ্যাপটি আপনার জন্য। কারণ অ্যাপটি ব্যবহার করা অনেক সহজ।
এই অ্যাপটিরও বেশ কিছু স্পেশাল ফিচার রয়েছে। যেমন
-
-
- রিয়েল টাইম প্রিভিউ অপশন
- মাল্টিপল লেয়ার ব্যবহার করার সুযোগ
- ড্রাগ এন্ড ড্রপ অপশন যার মাধ্যমে মিডিয়া ফাইল ইম্পোর্ট করা সম্ভব
- ভিডিও থেকে ওয়াটার মার্ক রিমুভ করার অপশন।
-
অন্যান্য অ্যাপগুলোর মতই গুগল প্লে স্টোর থেকে খুব সহজেই এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। আপনি চাইলে নিচের লিংক থেকেও অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.nexstreaming.app.kinemasterfree&hl=en&gl=US
জেনে নিন,
৬. কুইক – Quik
অসাধারণ ফ্রী ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর মধ্যে Quik অ্যাপটি বড় জায়গা দখল করে আছে। ইউজাররা এই অ্যাপটিকে অনেক বেশী নির্ভরযোগ্য মনে করে থাকে।
সহজেই ব্যবহার করা যায় এবং দ্রুত ভিডিও এডিট করা যায় বলে ইউজারদের কাছে বেশ পছন্দের। এর বিশেষ বিশেষ ফিচার গুলোর মধ্যে আছে-
-
-
- খুব সিম্পল ইউজার ইন্টারফেইস
- একসাথে ৫০টিরও বেশী ভিডিও এডিট করা যায়।
- এডিট করার সময় এক সাথে অনেক ফটো যুক্ত করা যায়
-
Quik ভিডিও এডিটিং অ্যাপটির বেশ কিছু স্পেশাল ফিচার রয়েছে। আসুন দেখে নেয়া যাক।
-
-
- অটোম্যাটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি
- 60fps এ ভিডিও সেইভ করার সুবিধা
- অ্যাপ থেকে সরাসরি ভিডিও শেয়ার করার অপশন।
-
যেকোনো ভিডিও এডিট করার জন্য যে যে ফিচারের প্রয়োজন হয় তার প্রায় সবগুলোই এই অ্যাপে রয়েছে। সহজ কোন অ্যাপ যদি আপনি ব্যবহার করতে চান তাহলে Quik ভিডিও এডিটিং অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
অন্যান্য অ্যাপগুলোর মতই গুগল প্লে স্টোর থেকে খুব সহজেই ইন্সটল করতে পারবেন। অথবা নিচের লিংক থেকেও আপনি চাইলে ডাউনলোড করতে পারেন।
https://quik-free-video-editor.en.softonic.com/android
জেনে রাখুন,
৭. ভিডিওশো- VideoShow
পুরষ্কার জিতেছে এমন ভিডিও অ্যাপগুলোর মধ্যে VideoShow অ্যাপটি অন্যতম। গুগল প্লে স্টোরে ফ্রী ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর মধ্যে সেরা অ্যাপের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে VideoShow
সেরা অ্যাপের জায়গা দখলের পিছনে কিছু তো কারণ আছেই, এই কারণ হচ্ছে আকর্ষণীয় কিছু ফাংশন। আসুন দেখে নেই ফাংশনগুলো-
-
-
- লাইভ ডাবিং
- সাউন্ড ইফেক্ট
- আকর্ষণীয় মিউজিক
- ইফেক্ট
- টেক্সট ফাংশন
-
এছাড়াও এই অ্যাপটিতে রয়েছে ৫০টিরও বেশী ফ্রী থিম যা আপনি সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি ভিডিও কোয়ালিটি ঠিক রেখে আপনি চাইলে ভিডিও এর সাইজ কমাতে বা বাড়াতে পারবেন।
অন্যান্য অ্যাপের মতই এই অ্যাপটিরও বেশ কিছু স্পেশাল ফিচার রয়েছে। যেমন-
-
-
- ভয়েস এনহান্সমেন্ট ফিচার
- অডিও স্পীড এডজাস্টমেন্ট
- ব্লারড ব্যাকগ্রাউন্ড
- স্লাইড শো অপশন
- যেকোন ভিডিও এর সাউন্ড mp3 তে কনভার্ট করার সুবিধা।
-
যথারীতি গুগল প্লে স্টোর থেকে সরাসরি সার্চ করে ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা নিচের লিংক ব্যবহার করেও ডাউনলোড করতে পারবেন।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.xvideostudio.videoeditor&hl=en&gl=US
আরও পড়ুন,
৮. ফানিমেট – FuniMate
আপনি যদি ছোট ভিডিও বা শর্ট ভিডিও বানাবেন বলে চিন্তা করে থাকেন তবে FuniMate ভিডিও এডিটিং অ্যাপ আপনার জন্য।
এই অ্যাপটিতে প্রায় ১০০টিরও বেশী অ্যাডভান্স ইফেক্ট রয়েছে যা ব্যবহার করে খুব সহজেই ফানি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
যদিও FuniMate অ্যাপটি বড় মাপের ভিডিও এডিটিং অ্যাপ নয় তারপরেও সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ছোট ভিডিও তৈরি করা যায় অনায়াসে।
এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে প্রথমে সাইন আপ করতে হবে। অ্যাপটি সম্পূর্ণ ফ্রী হওয়ায় কাজ করার সময় অ্যাড আসতে পারে।
আসুন এবার জেনে নেয়া যাক কিছু স্পেশাল ফিচার-
-
-
- ১০০+ অ্যাডভান্স ভিডিও ইফেক্ট
- কোলাজ ভিডিও তৈরি করার অপশন
- ডেডিকেটেড কমিউনিটি
-
এখন আসুন কীভাবে ডাউনলোড করবেন?
এই অ্যাপটি সরাসরি কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন তবে তার পূর্বে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
ওয়েবসাইট লিংকঃ https://funimate.com/
অথবা গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে FuniMate লিখে সার্চ করে খুব সহজেই অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করে নিতে পারবেন।
আপনাদের সুবিধার জন্য গুগল প্লে স্টোরের লিংক নিচে দেয়া হল-
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.avcrbt.funimate&hl=en&gl=US
বিস্তারিত জেনে নিন,
৯. ম্যাজিস্টো ভিডিও এডিটর – Magisto Video Editor
অল্প সময়ের মধ্যে ভিডিও এডিট করতে চাইলে Magisto Video Editor অ্যাপটির বিকল্প নেই। এর আছে সহজ কিছু ফিচার যার মাধ্যমে খুব সহজেই ফরমাল ভিডিও এডিট করা সম্ভব।
Magisto এর উল্লেখযোগ্য কিছু ফিচারের মধ্যে রয়েছে, অটোম্যাটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি।
যেমন ভিডিও ক্লিপস, মিউজিক, ফটো, ভিডিও ইফেক্ট, টেক্সট, এবং ভিডিও ফিল্টার ইত্যাদিকে নিয়ে একসাথে কাজ করে ভিডিও তৈরি করে দিতে পারবে যা আপনার কাজকে অনেক বেশী সহজ করে দেবে।
এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর মধ্যে রয়েছে উন্নতমানের এআইও যা আপনাকে ভিডিও এনালাইজ করতে সহায়তা করবে।
এই অ্যাপটির বেশ কিছু স্পেশাল ফিচার রয়েছে। যেমন,
-
-
- অ্যাপ থেকে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার অপশন।
- অটোম্যাটিক এডিটিং ফিচার
- এডিটিং এর জন্য অ্যাডভান্স টুলস
-
ডাউনলোড করবেন কীভাবে? খুব সহজে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে Magisto Video Editor লিখে সার্চ করুন এবং ইন্সটল করে নিন।
অথবা নিচের লিংক থেকেও ইন্সটল করে নিতে পারবেন,
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.magisto&hl=en&gl=US
অথবা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও ইন্সটল করতে পারবেন, আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে লিংক দেয়া হল,
https://www.magisto.com/
জেনে রাখুন,
১০. Film Maker – Movie Maker
বর্তমানে Film Maker – Movie Maker ভিডিও এডিটিং অ্যাপটি জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর মধ্যে একটি এতে কোন সন্দেহ নেই।
অ্যাপটিতে এমন কিছু ফিচার রয়েছে যা দিয়ে আপনি নিজের ইচ্ছেমত ভিডিও ইফেক্ট দিতে পারবেন এমনকি নিজের ইচ্ছেমতো ডিজাইনও করতে পারবেন।
অ্যাপটির ফাংশনগুলোর ব্যবহার অনেক সহজ হওয়ায় ভিডিও এডিট করা অনেক সহজ। অ্যাপটিতে বেসিক লেভেলের প্রায় সব ধরণের ফিচার রয়েছে। শর্ট ভিডিও এডিট করার জন্য এটি ইউজারদের কাছে এটি একটি আদর্শ অ্যাপ।
অন্যান্য ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর মতো এই অ্যাপটিরও রয়েছে বেশ কিছু স্পেশাল ফিচার। আসুন দেখে নেয়া যাক ফিচারগুলো কি কি।
-
-
- মোশন ট্রাক
- মিউজিক স্লাইড শো ফিচার
- টেক্সট এনিমেশন ইফেক্ট
- ডিজাইন এডিট করার অপশন ইত্যাদি।
-
গুগল প্লে স্টোর থেকে খুব সহজে আপনার স্মার্ট ফোনে অ্যাপটি ইন্সটল করতে পারবেন। অথবা নিচের লিংক থেকেও ইন্সটল করতে পারবেন।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.cerdillac.filmmaker&hl=en&gl=US
জেনে রাখুন,
১১. ভাইভাভিডিও – VivaVideo
সহজে ব্যবহার করা যায় এমন জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর মধ্যে VivaVideo অন্যতম। অ্যাপটির বেশ কিছু ফিচার রয়েছে যা আসলেই মনোমুগ্ধকর যা আপনার ভালোলাগার কারণ হতে পারে।
এমন সব সহজ ফাংশন দিয়ে অ্যাপটিকে সাজানো হয়েছে যা প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি বা এডিট করতে সহায়তা করবে।
আপনি হয়তো জানেন না, এই অ্যাপটির ইউজার সংখ্যা ২০০ মিলিয়নেরও বেশী, তো বুঝতেই পারছেন এর জনপ্রিয়তা কতটুকু!
অ্যাপটির প্রিমিয়াম এবং ফ্রি দুটো ভার্সনই রয়েছে। প্রিমিয়াম ভার্সন আপনাকে আরও বেশী প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিট করতে সহায়তা করবে।
তবে ফ্রী ভার্সন যে আপনাকে কিছুই দেবে না বিষয়টা মোটেও এমন নয়। অ্যাপটির ফ্রী ভার্সন ব্যবহার করেও প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিট করা যায়।
অ্যাপটির বেশ কিছু স্পেশাল ফিচার রয়েছে। যেমন,
-
-
- স্লো মোশন ক্যাপাবিলিটি
- ফাস্ট মোশন ক্যাপাবিলিটি
- ২০০ এরও বেশী ভিডিও ইফেক্ট
- কোলজ ভিডিও তৈরি করার অপশন
- ফিল্টার কালেকশন ইত্যাদি।
-
অ্যাপটি ইন্সটল করার ক্ষেত্রে খুব বেশী বেগ পেতে হবে না আপনাকে। গুগল প্লে স্টোরে VivaVideo লিখে সার্চ দিলেই সবার উপরে চলে আসবে অ্যাপটি। ইন্সটল বাটনে চাপ দিলেই হয়ে যাবে ইন্সটল।
অথবা নিচের লিংক থেকেও ডাউনলোড করতে পারবেন খুব সহজেই
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.quvideo.xiaoying&hl=en&gl=US
জেনে রাখুন,
১২. উইভিডিও – WeVideo
ক্লাউড বেইসড ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর নাম হয়তো আমরা অনেকেই শুনেছি। WeVideo ভিডিও এডিটিং অ্যাপটি মূলত একটি ক্লাউড বেইসড ভিডিও এডিটিং অ্যাপ।
ফ্রী ভার্সন ব্যবহার করে উন্নতমানের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। ফ্রী ভার্সনে এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপটির রয়েছে বেশ কিছু চমৎকার ফিচার।
-
-
- ট্রিম অপশন
- ফিল্টার অ্যাড অপশন
- মিউজিক অ্যাড অপশন
- মিউজিক লাইব্রেরী
- বিল্ট-ইন লাইব্রেরী ইত্যাদি
-
আপনি যদি প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন অর্থাৎ টাকা দিয়ে অ্যাপটি কিনে নিতে পারেন তাহলে তো কোন কথায় নেই। পাবেন অসংখ্য আকর্ষণীয় সব ফিচার।
WeVideo ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর বেশ কিছু স্পেশাল ফিচার রয়েছে। যেমন,
-
-
- বিল্ট-ইন মিউজিক লাইব্রেরী
- ক্লাউড বেইসড ভিডিও এডিটিং সুবিধা
- 4K রেজুলেশনের ভিডিও তৈরির সুবিধা ইত্যাদি।
-
ডাউনলোড বা ইন্সটল নিয়ে কোন ধরণের দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে WeVideo লিখে সার্চ করলেই সবার উপরে চলে আসবে অ্যাপটি। ইন্সটল বাটনে ক্লিক করলেই হয়ে যাবে ইন্সটল।
অথবা নিচের লিংক থেকে সরাসরি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন-
https://apps.apple.com/us/app/wevideo-video-editor-maker/id615796920
এছাড়াও WeVideo এর নিজস্ব ওয়েবসাইট https://www.wevideo.com/ থেকেও অ্যাপটি ডাউনলোড এবং ইন্সটল করতে পারবেন ফ্রী অথবা প্রিমিয়াম দুটো ভার্সনই।
আরও পড়ুন,
আপনি যদি আপনার স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিট করতে চান তবে উপরের ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন। পোস্টটি কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।