বর্তমানে যুব সমাজ থেকে শুরু করে মধ্য বয়সী কিংবা ৫০ বছরের উপরের মানুষও যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের প্রতি প্রবলভাবে ঝুকে পড়ছে।
একজন মানুষের যৌন সমস্যা থাকতে পারে এটা অস্বাভাবিক কিছু না। এর জন্য জন্য রয়েছে যথাযথ চিকিৎসা।
কিন্তু আমাদের যুব সমাজ লজ্জায় ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ফার্মেসী কিংবা হাতুড়ে ডাক্তারের কাছ থেকে যৌন উত্তেজক ঔষধ নিয়ে থাকেন এবং তা নিয়মিত সেবন করে থাকেন।
এ কথা আমরা কেউ জানি না যে, এই যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের ফরে কি হতে পারে। বন্ধুরা আজ আমরা জানবো যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবনের মারাত্মক কিছু ক্ষতিকর দিক।
সুচীপত্র
যৌন উত্তেজক ওষুধের মারাত্মক ক্ষতিকর দিক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
যৌন উত্তেজক ওষুধের অনেক অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে তার মধ্যে মারাত্মক কিছু ক্ষতিকর দিক নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হল। আসুন জেনে নেই যৌন উত্তেজক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিকসমুহ।
১. ধ্বজভঙ্গ রোগের সৃষ্টি
যৌবন সৃষ্টিকর্তার দেয়া অনেক বড় একটা নেয়ামাত। যদিও সব মানুষকে একই রকম ক্ষমতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়নি। তারপরেও সৃষ্টিকর্তা যা দিয়েছেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ।
তবে যৌন রোগ হতে পারে এটাও সত্য। এর চিকিৎসা আছে কিন্তু আসল রোগের চিকিৎসা না করে আমরা হাতুরা ডাক্তারের কথা শুনে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করে থাকি।
এতে করে ধ্বজভঙ্গ রোগের সৃষ্টি হতে পারে যা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আমাদের এও জানা নেই, যে বাজারে অধিকাংশ যৌন উত্তেজক ওষুধের সরকারী কোন অনুমোদনও নেই।
ধ্বজভঙ্গ এমন একটি রোগ যার চিকিৎসা সময় মতো না করা হলে ধীরে ধীরে তা পুরুষত্বহীনতায় রূপ নেবে। এবং এর থেকে বের হয়ে আসার অবশিষ্ট কোন উপায় থাকবে না।
তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করা উচিৎ। শুধু যৌন উত্তেজক ওষুধের ক্ষেত্রেই নয় বরং সকল ধরণের ওষুধের ক্ষেত্রেই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।
আরও জেনে নিন,
২. উচ্চরক্তচাপ
যৌন উত্তেজক ওষুধের ক্ষতিকর দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ রোগের সৃষ্টি হওয়া যাকে আমরা হাই ব্লাড প্রেসার বলে থাকি।
একবার উচ্চরক্তচাপ মানব শরীরে বাসা বাঁধলে আর রক্ষা নেই। সারাজীবন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে ওষুধ সেবন করে যেতেই হবে।
সাময়িক আনন্দ লাভের আসায় কেন আপনার জীবনকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করবেন একটাবার অন্তত চিন্তা করুন!
৩. আসক্তি
যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করার জন্য সাধারণত ওষুধের কোন প্রয়োজন হয় না। তবে রোগ হলে সেটা ভিন্ন কথা। সখের বসে ক্ষণিকের সুখ বা আনন্দ উপভোগ করার জন্য যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন আপনার যৌন জীবনকে চিরতরে ধ্বংস করে দিতে পারে।
যৌন উত্তেজনা একজন মানুষের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। এর জন্য ঔষধের প্রয়োজন পড়ে না। আর যদি কেউ সেবব গ্রহণ করতেই থাকে তবে একটা সময় মানুষের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে যাবে।
আর এমনটা হলেই তা রূপ নেয় আসক্তিতে। যৌন উত্তেজক ওষুধে আসক্তি নেশার মতই। এরকমটা চলতে থাকলে একটা সময় ওষুধও আর কাজ করবে না। ফলে যৌন জীবনের চির সমাপ্তি ঘটে যাবে আপনার জীবন থেকে।
আরও পড়ুন,
৪. যৌন জীবনের সমাপ্তি
অধিক সময় যৌন মিলনের আকাঙ্ক্ষা থেকে যদি কেউ নিয়মিত যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবন করে থাকে তবে তার জন্য আগামী দিনে অপেক্ষা করছে ভয়ঙ্কর কিছু যা সে কখনো কল্পনাও করেনি।
আজ সেবন করেছেন অনেক মজা পেয়ে আগামীকালও সেবন করলেন এভাবে ধীরে ধীরে ওষুধের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়লেন। কিন্তু ভবিষ্যৎ পরিণতির কথা কখনো ভেবে দেখেছেন?
একটা সময় যৌন উত্তেজক ঔষধ আর আপনার কোন কাজে আসবে না। ফলে আপনি হারিয়ে ফেলবেন আপনি যৌন জীবন। এবং এটাই অপ্রিয় সত্য।
তবে হ্যাঁ মানুষ হিসেবে আমাদের যৌন সমস্যা থাকতে পারে। সে সমস্যা সমাধানের জন্য যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
৫. হঠাৎ মৃত্যু
হঠাৎ মৃত্যু শব্দ দুটি দেখে অবাক হচ্ছেন না! অবাক হওয়ারই কথা। এরকম কথা আমরা সচারচর শুনতে পাই না। তবে খেয়ার করলে দেখবেন, মাঝে মাঝেই খবরের কাগজে নিউজ আসে যৌন উত্তেজক ওষুধ খেয়ে বাসর রাতে যুবকের মৃত্যু।
আপনি জানলে অবাক হবেন যে, আমাদের দেশে সরকার অনুমোদিত কিছু যৌন উত্তেজক ওষুধ রয়েছে সেগুলোর সাইড ইফেক্ট হিসেবে বলা আছে হঠাৎ মৃত্যু।
এটা কি চিন্তার বিষয় নয় যে, সরকার অনুমোদিত যৌন উত্তেজক ওষুধ এর সাইড ইফেক্ট এ যদি হঠাৎ মৃত্যু লেখা থাকে তবে যেগুলোর অনুমোদন কোথাও নেই সেসব ওষুধ সেবন করলে কি হতে পারে?
তবে যৌন দুর্বলতা যদি থেকে থাকে তবে সেটার চিকিৎসা দেশে আছে। এর জন্য আপনাকে যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
আরও পড়ুন,
পরিশেষে একটাই কথা বলবো যৌন জীবন একটা মানুষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে যৌন জীবন উপভোগ করা উচিৎ।
ক্ষণিকের আনন্দের জন্য পুরো যৌন জীবন নিজের হাতে ধ্বংস করা আপনার জন্য মোটেও সুখকর হতে পারে না। তাই যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
তো বন্ধুরা! আজ এই পর্যন্ত আগামীতে দেখা হবে নতুন কোন টপিক নিয়ে, ততদিনে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এটাই কাম্য। আর হ্যাঁ জনসচেতনা বৃদ্ধি করতে লেখাটি শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু!