যত দিন যাচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনগুলো ততো আপডেট হচ্ছে, বিশেষ করে সবার উপরে থাকা গুগল। ২০১০ সালের দিকে SEO এর কাজগুলো অনেক সহজ ছিল কিন্তু বর্তমানে একটু কষ্টকর হয়ে গেছে।
অনেক দিকে ভালোভাবে নজর দিতে হয়। আজকে আমরা জানবো On-page Optimization কাকে বলে এবং অন পেজ অপটিমাইজেশনে কোন ধরণের কাজগুলো করতে হয়?
চলুন প্রথমে জেনে নেয়া যাক অন পেজ অপটিমাইজেশন কি বা কাকে বলে?
On-page Optimization কাকে বলে?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের ভিতরে যে কাজগুলো করবেন সেই কাজ বা নিয়ম পদ্ধতিগুলকে একত্রে বলা হয় On-page Optimization (অন পেজ অপটিমাইজেশন)।
অন পেজ অপটিমাইজেশন এ বেশ কিছু কাজ রয়েছে যা আপনাকে মনোযোগ সহকারে করতেই হবে, যদি আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন কিংবা গুগলের প্রথম পেজ এ নিয়ে আসতে চান।
আসুন এক নজর দেখে নেই, On-page Optimization এ আসলে কোন কোন বিষয়গুলোকে নিয়ে কাজ করতে হয়?
অন পেজ অপটিমাইজেশনে যে সকল বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়
যদিও গুগলের দেয়া সমস্ত গাইডলাইন অনুসরণ করা অনেক সময় সম্ভব হয় না, কিন্তু প্রধান প্রধান বিষয়গুলো নিয়ে কাজ না করলেই নয়।
আজকে আমরা On-Page Optimization এর প্রধান প্রধান বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
১. Website Structure
একটি ওয়েবসাইটের গঠন কেমন হওয়া উচিৎ কেমন হলে গুগলের চোখে ভালো বলে পরিচিত হবে এ নিয়ে রয়েছে অনেক জল্পনা কল্পনা।
যারা এসইও নিয়ে কাজ করে তাদের মতে নিচের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
-
- ওয়েবসাইটের কালার বা রং এমন হতে হবে যেন ইউজাররা বিরক্ত না হয়।
- ওয়েবসাইটটি অবশ্যই মোবাইল এবং ট্যাব ফ্রেন্ডলি হতে হবে। বর্তমানে প্রায় সকল থিম অবশ্য মোবাইল ফ্রেন্ডলি তাই অতিরিক্ত কিছু করতে হয় না।
- ওয়েবসাইটের কালারের সাথে লোগো এর একটা কম্বিনেশন থাকা জরুরী।
- আপনার ওয়েবসাইটে যেন জানালা না থাকে অর্থাৎ অন্য কোন ওয়েবসাইট যেন দেখা না যায়, এমন কাজ করা যাবে না।
- ওয়েবসাইটে হলুদ কালার ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ গুগল হলুদ কালার পছন্দ করে না।
- আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইউজারকে কি দিচ্ছেন তার উপর ডিজাইন করা উচিৎ।
- ওয়েবসাইটের নামের সাথে যেন সার্ভিসের ম্যাচিং, লোগো এর সাথে সার্ভিসের ম্যাচিং ইত্যাদি বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরী।
উপরের বিষয়গুলো কমন, এগুলো মেইনটেইন করলে ওয়েবসাইটের গঠন মোটামুটি এসইও ফ্রেন্ডলি হবে বলে আশা করা যায়।
২. URL Structure
Uniform Resource Locator এর শর্ট ফর্ম হচ্ছে URL. URL মূলত একটি ওয়েব বা ওয়েব পেজের এড্রেস। একটি URL কে তিনটি অংশে ভাগ করা যেতে পারে। https বা http, www. এবং helptunebd.com.
http এর Full Form হচ্ছে Hyper Text Transfer Protocol. এবং www এর Full Form হলো “World Wide Web”, URL এর বাকি helptunebd হচ্ছে আপনার আমার ওয়েবসাইটের নাম।
আরও একটি অংশ আছে .com, বা .net, বা .org. এগুলো হচ্ছে Extension. বিষয়টি আরও ভালোভাবে জানার জন্য নিচের ছবিটি দেখে নিতে পারেন।
অনেকেই অনেকভাবে ওয়েব পেজের URL দিয়ে থাকে। যেমন কেউ দেয় http://www.example.com/2039/ আবার কেউ দেয় http://www.example.com/abcdef কেউবা বিভিন্ন নামও দিয়ে থাকে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে URL এর গঠন আসলে কেমন হওয়া উচিৎ?
URL এর একটি নির্ধারিত গঠন রয়েছে যা অনুসরন করলে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের পেজ কিংবা কোন পোস্ট কে সহজেই র্যাংক করানো যায়।
মনে করুন, “How to Write an SEO Optimized Article?” এই বিষয়ের উপর একটি আর্টিকেল লিখলেন। আপনার লিখা আর্টিকেলের URL Structure কেমন হওয়া উচিৎ?
মনে রাখবেন, আপনার URL এর মধ্যে কীওয়ার্ড রাখা একটি র্যাংকিং ফ্যাক্টর। তাই URL টি এমনভাবে সাজাবেন যেন তার মধ্যে আপনার মেইন কী ওয়ার্ডটি থাকে।
যেমন- ধরুন আপনার মেইন কী ওয়ার্ড হচ্ছে SEO Optimized Article. তাহলে আপনার আর্টিকেলের URL টি হওয়া উচিৎ এমন-
http://www.example.com/how-to-write-an-seo-optimized-article/
এছাড়াও এখানে বেশ কিছু কাজ রয়েছে, যেমন http(s), WW এবং Non WW ইস্যু। এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত লিখবো ইনশাআল্লাহ্।
মনে রাখবেন, URL শুরুতে যদি কীওয়ার্ড রাখতে পারেন তবে সেটা সবচেয়ে ভালো ফল দেবে কারণ URL এর প্রথমের দিকে কীওয়ার্ড রাখা একটি র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর। নিচের URL টি লক্ষ্য করলে বিষয়টি আরও ক্লিয়ার হবে
http://www.example.com/seo-optimized-article-how-to-write/
৩. Meta Title
মেটা টাইটেল সম্পর্কে অনেকেই জানেন না, On-Page Optimization এর কাজ সঠিকভাবে করতে Meta Title এর উপর অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হয়।
কেননা একটি ওয়েব পেজ বা আর্টিকেলকে র্যাংক করার ক্ষেত্রে মেটা টাইটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আপনি নিশ্চয়ই গুগলে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কিছু লিখে সার্চ দিয়ে থাকেন, সার্চ দেয়ার পর গুগল একটি পেজ আপনার সামনে নিয়ে আসে।
আপনার সামনে থাকা পেজটিতে দেখতে পাবেন কিছু লেখা, এই লেখাগুলোর মধ্যে প্রথম লাইনটিকে বলা হয়ে থাকে Meta Title.
নিচের ছবিটি দেখলে বিষয়টি আরও বেশি করে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ছবিটিতে যে লেখাটি বক্স করা হয়েছে সেটিকেই বলা হয় Meta Title.
এখন কথা হচ্ছে, Meta Title কে কিভাবে SEO Friendly করা যায়? খুব সহজেই মেটা টাইটেলকে SEO Friendly করা যায়। আপনি যে কীওয়ার্ড ব্যবহার করছেন সে কীওয়ার্ডটি মেটা টাইটেল এর মধ্যে রাখতে হবে।
যেমন ধরুন আপনার কীওয়ার্ড হচ্ছে “SEO Optimized Article” তাহলে আপনার Meta Title টি হতে হবে এমন- How to write an SEO Optimized Article?
এখানে কীওয়ার্ডটিকে সবার শেষে রাখা হয়েছে। কিন্তু যদি আপনি কীওয়ার্ডটিকে সবার প্রথমে রাখেন তবে সেটাই হবে আপনার জন্য উত্তম। কারণ, মেটা টাইটেল এর শুরুর দিকে কীওয়ার্ড থাকা একটি র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর।
উদাহরণস্বরূপ, SEO Optimized Article- How to write?
আরও একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরী, আপনি ইচ্ছা করলেই অনেক বড় মেটা টাইটেল কিংবা এসইও টাইটেল বানাতে পারবেন কিন্তু পুরো লেখা গুগল দেখাবে না, এর একটি নির্দিষ্ট লিমিট আছে। ৬০ বা ৬০টি শব্দের মধ্যে রাখলে এটি কেটে যাবে না, অর্থাৎ এসইও অপ্টিমাইজ হবে।
বন্ধুরা যদি, না বুঝে থাকেন তবে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
৪. Meta Description
একটি ওয়েব পেজকে র্যাঙ্ক করানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে Meta Description. প্রথমে জেনে রাখা ভালো মেটা ডেসক্রিপশন কোথায় থাকে?
গুগলে কোন কিছু লিখে সার্চ করলে আপনার সামনে যে পেজটি আসে সে পেজটিতে মূলত Meta Description থাকে। নিচের ছবিটি লক্ষ্য করলে আশা করি সহজেই বুঝতে পারবেন।
উপরের ছবিটিতে লাল কালি দিয়ে বক্স করা হয়েছে সেটিকে বলা হয়ে থাকে Meta Description.
Meta Description কে কিভাবে অপ্টিমাইজ করা যায়? এসইও টাইটেল বা মেটা টাইটেল এর মতই মেটা ডেসক্রিপশন এরও নির্দিষ্ট ওয়ার্ড লিমিট রয়েছে।
১৬০ ক্যারেক্টার বা শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন। অবশ্য আপনি চাইলে এর বেশিও ব্যবহার করতে পারেন তবে ১৬০ শব্দ পর্যন্ত গুগল দেখাবে।
Meta Dedcription কে খুব সহজেই অপ্টিমাইজ করা যায়, আপনার কীওয়ার্ডটি একবার ব্যবহার করলে হয়ে যাবে এসইও ফ্রেন্ডলি মেটা ডেসক্রিপশন। তবে যত শুরুতে কীওয়ার্ড ব্যবহার করবে ততই ভালো। এবং এটাই ভালো প্রাকটিস।
৫. Article or Content
আমরা যারা এসইও নিয়ে কাজ করি তারা সকলেই একটি কথাই বলে “Content is The Key” অর্থাৎ একটি পেজ এর আর্টিকেলটাই আসল। আর্টিকেল ভালো হলে খুব সহজেই র্যাংক করানো যায়।
নিচের কয়েকটি পয়েন্ট ভালোভাবে প্রাকটিস করলে একটি আর্টিকেলকে অপ্টিমাইজ করা যাবে খুব সহজেই।
-
- ভালো মানের আর্টিকেল হতে হবে অর্থাৎ আর্টিকেলটি ইনফরমেটিভ বা তথ্য সম্বলিত হতে হবে।
- গ্রামাটিক্যাল এরর অর্থাৎ ব্যাকরণগত ভুল রাখা যাবে না।
- আর্টিকেলটি ৩০০ ওয়ার্ড এর বেশি হতে হবে কারণ বড় আর্টিকেলগুলো খুব সহজেই র্যাঙ্ক করানো সম্ভব।
- প্রতিটি প্যারা ২-৪ লাইনের হলে ভালো হয়। এতে ইউজারদের পড়তে বিরক্ত লাগবে না এবং বাউন্সরেইট কমে আসবে।
- একটি হেডলাইন এবং কিছু সাবহেডলাইন রাখতে হবে।
- খুব বেশি প্যাসিভ ভয়েস ব্যবহার করা যাবে না অর্থাৎ একটিভ এবং প্যাসিভ এর মধ্যে একটি ব্যাল্যান্স রাখতে হবে।
- হেডলাইনে একটি কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। হেডলাইনের শুরুর দিকে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা ভালো প্রাকটিস।
- প্রথম প্যারাতে একটি কীওয়ার্ড রাখতে হবে। প্রথম প্যারার শুরুর দিকে কীওয়ার্ড থাকা ভালো প্রাকটিস।
- শেষের প্যারাতে একটি কীওয়ার্ড রাখতে হবে। কীওয়ার্ডটি যত শেষের দিকে রাখা যায় ততই ভালো।
- সাবহেডলাইন গুলোতে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা ভালো প্রাকটিস। অন্তত এক দুটিতে ব্যবহার করা উচিৎ।
- আর্টিকেলের মধ্যে রিলেটেড কীওয়ার্ড অর্থাৎ সম্পর্কিত কীওয়ার্ড ব্যবহার করা প্রয়োজন।
এই কাজগুলো করলে একটি আর্টিকেলকে এসইও ফ্রেন্ডলি বানানো সম্ভব। মনে রাখা জরুরী, আর্টিকেলের ভিতরে জোরপূর্বক কীওয়ার্ড রাখা যাবে না, এতে আর্টিকেলের গুণগত মান নষ্ট হতে পারে।
৬. Keyword Density এবং LSI Terms
কীওয়ার্ড ডেনসিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি আর্টিকেলের মধ্যে কীওয়ার্ড এর পরিমাণ বেশি হয় অর্থাৎ কীওয়ার্ড এর পরিমাণ বেড়ে যায় তবে আপনার সকল চেষ্টা বিফলে যেতে পারে।
যারা এসইও নিয়ে কাজ করে, তারা অনেকেই অনেক পরামর্শ দিয়ে থাকে। কেউ বলে ৫% পর্যন্ত কীওয়ার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে, কেউ বলে ৪%।
তবে আইডিয়াল প্রাকটিস হল ০.৫% থেকে ১.৫% কীওয়ার্ড রাখা। কেউ কেউ বলেছে ২% পর্যন্ত রাখলেও সমস্যা হবে না অর্থাৎ গুগল পেনাল্টি দেবে না।
১% কীওয়ার্ড ব্যবহার করা অর্থ হচ্ছে, যদি আপনার আর্টিকেলটি ৩০০ ওয়ার্ডের হয় তবে ৩ বার ব্যবহার করতে পারবেন।
কীওয়ার্ড ব্যবহার করার পাশাপাশি LSI Term গুলো ব্যবহার করতে অনেকেই সাজেস্ট করে থাকে।
LSI Term এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Latent Semantic Indexing. অর্থাৎ আপনার যে মেইন কীওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন তার রিলেটেড কীওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করা।
এই সহজ কাজটিকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। মনে রাখা জরুরী এটি একটি র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর।
৭. Internal Link
Internal Linking হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের একটি পেইজের সাথে আরেকটি পেইজের মধ্যে লিংক করানো। এটি একটি পেইজকে র্যাঙ্ক করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রতিটি আর্টিকেলের সাথে আপনার ওয়েবসাইটের অন্য আর্টিকেলগুলোকে লিংক করে দেয়াটাও একটি র্যাংকিং ফ্যাক্টর।
৮. External Link
External Linking অর্থ হচ্ছে, আপনার ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটকে ব্যাকলিংক দেয়া। মাথায় রাখতে হবে এর পরিমাণ যেন বেশি না হয়।
এবং যে ওয়েবসাইটকে ব্যাকলিংক দেবেন সেটি যেন মানসম্মত ওয়েবসাইট হয়।
৯. Image/Photo
ইমেজ একটি ওয়েব পেইজকে র্যাঙ্ক করানোর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। Image এর ব্যাপারে নিচের বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে প্রাকটিস করা জরুরী।
-
- অন্য ওয়েবসাইট থেকে কোন ছবি হুবহু কপি করা যাবে না। যদি নিজেই তৈরি করতে পারেন তবে সেটাই ভালো প্রাকটিস।
- আর্টিকেল রিলেটেড ইমেজ হতে হবে। ধরুন, আপনার আর্টিকেল বার্গার রিলেটেড কিন্তু আপনি ব্যবহার করেছেন গরুর ইমেজ, এমনটা ভুলেও করা যাবে না।
- ইমেজ বা ছবির নাম এমনভাবে দিতে হবে যেন আপনার কীওয়ার্ডটি নামের মধ্যে থাকে। যেমন আপনার কীওয়ার্ডটি যদি Seo Optimized Article হয় তবে ইমেজ এর নাম how-to-write-seo-optimized-article এমন হওয়া উচিৎ।
- Image Alt Tag ব্যবহার করতে হবে এবং সেখানে আপনার কীওয়ার্ডটিকে রাখতে হবে। মনে রাখবেন Image Alt Tag এ কীওয়ার্ড ব্যবহার করা একটি র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর।
- ইমেজ ডেসক্রিপশন দিতে হবে এবং এতে একটি কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিৎ।
উপরোক্ত কাজগুলো ঠিকঠাকমতো করলে একটি ইমেজকে এসইও অপ্টিমাইজ করা যায়।
১০. Website Loading Speed
আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ কতো দ্রুত ওপেন হচ্ছে এটি মাথায় রাখা জরুরী। যদি আপনার ওয়েবসাইট ওপেন হতে অনেক সময় নেয় তবে তা ইউজারের জন্য বিরক্তির কারণ হতে পারে।
এভাবে ধীরে ধীরে আপনি ভিজিটর হারাতে পারেন অর্থাৎ ইউজাররা আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকতে চাইবে না। আর এমন হলে ধীরে ধীরে গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে পিছনে নিয়ে যাবে।
এছাড়াও লোডিং স্পীড বেশি হলে বাউন্স রেইট বেড়ে যাবে। বাউন্স রেইট বেড়ে গেলে ওয়েবসাইটের র্যাঙ্ক ফল করে।
সামাধান হিসেবে ভালো মানের কোম্পানি থেকে হোস্টিং ব্যবহার করা প্রয়োজন এবং হোস্টিং এর ভিতরে অহেতুক ভারী ফাইল না রাখাই ভালো।
আমরা জানি ভিজিটর পাওয়ার অনেকগুলো মাধ্যমের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া অন্যতম মাধ্যম। আর শেয়ার বাটন রাখা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে কানেক্ট থাকা ২০০+ র্যাংকিং ফ্যাক্টরের মধ্যে একটি।
১২. Contact Us- Page
একটি ওয়েবসাইটের Contact Us পেইজ থাকা অনেক জরুরী, কারণ এটি একটি র্যাংকিং ফ্যাক্টর। গুগল এটিকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই যাদের ওয়েবসাইটে Contact Us পেইজ নেই তারা আজকেই এই পেইজটি বানিয়ে ফেলুন।
১৩. About Us Page
অনেকেই About Us পেইজকে গুরুত্ব দেয় না। মনে রাখা জরুরী, আপনার ওয়েবসাইটটি কি সমন্ধে সেটা ইউজারের কাছে ক্লিয়ার করা প্রয়োজন, গুগল এই কাজটিকে অনেক ভালো চোখে দেখে আর তাছাড়াও এটি একটি র্যাংকিং ফ্যাক্টর।
বন্ধুরা অনপেইজ অপটিমাইজেশন এর অনেক অনেক কাজের মধ্যে উপরের ১৩টি পয়েন্ট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আমি আশা করি উপরোক্ত ১৩ টি পয়েন্ট ভালোভাবে ফলো করলে অন পেজ অপটিমাইজেশন এর কাজ মোটামুটি শেষ হয়ে যায়।
তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত, আগামীতে দেখা হবে নতুন কোন গুরুত্বপূর্ণ টপিকস নিয়ে। ততদিনে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এটাই কামনা।
লিখেছেন,
আরও পড়ুন,
*লেখাটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো*
Thanks to my father who told me regarding this weblog, this weblog is in fact amazing.