ব্যক্তি জীবনে আমরা নিজেদের ব্যবহার, আচার, আচরণ সম্পর্কে সর্বদাই সচেতন থাকার চেষ্টা করি, ঠিক তেমনি কর্মজীবনেও আমাদের ব্যবহার, আচার, আচরণ সম্পর্কে সর্বদাই সচেতন থাকতে হবে। নিজের ব্যাপারে যেমন গুরুত্ব দেই তেমনি কর্মজীবনে অন্যদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
আপনার কর্মক্ষেত্রে সবসময় আপনাকে অনুপ্রেরণা ও ইতিবাচক কর্মস্পৃহার দিকে মনযোগী হতে হবে।
একটি প্রতিষ্ঠানের আচরণের উপর একজন চাকুরীজীবীর ব্যক্তিত্ব নির্ভর করে থাকে। প্রতিষ্ঠান যদি কর্মচারীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের প্রতি মনযোগী হয় তবে তাদের সফলতার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেশি।
তাই নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারী থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যন্ত সকলেই যদি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের মান বাড়াতে এবং নিজের মান উন্নয়নের দিকে নজর দেয় তবে সফলতা আসবেই।
আসুন জেনে নেই, নিজেকে প্রকাষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় কি কি দক্ষতাগুলো দরকার হয়?
সুচীপত্র
১. নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানুন
অনেক মানুষ আমাদের মাঝে আছেন যারা অন্যান্য বিষয়ে সচেতন হলেও নিজের সম্পর্কে ততোটা সচেতন নন। আপনি নিজে কেমন প্রকৃতির মানুষ এ সম্পর্কে আপনার নিজেরই কোন ধারনা নেই।
কর্মজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন সব ক্ষেত্রেই আপনাকে উপরে তুলবে আপনার ব্যক্তিত্ব।
বর্তমানে ডিজিটাল জুগে অনলাইনে ব্যক্তিত্ব টেস্ট আছে যার মাধ্যমে আপনি কেমন ব্যক্তি তা জানতে পারবেন খুব সহজেই।
২. সহকর্মীদের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানুন
আপনি যে অফিসে কাজ করেন সেখানে যতটুকু সম্ভব হয় আপনার সহকর্মীদের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। একটি বিষয় আপনি যেভাবে বুঝতে পারেন আপনার সহকর্মী সে বিষয়টি আপনার মত করে নাও বুঝতে পারেন।
প্রত্যেকের বুঝার ক্ষমতা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আপনার সহকর্মীরা কিভাবে চিন্তা করে, কিভাবে ভাবে তাদের সেই চিন্তা বা ভাবনা সম্পর্কে জানুন।
৩. পরিবেশ পরিস্থিতি অনুসারে আচরন করুন
অনেক সময় নানা কারণে নানা রকম উদ্ভট বা জটিল পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে অফিসে। সে সময়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন। কোন পরিস্থিতিতে কিরূপ আচরন করবেন তা শেখার পিছনে সময় দিন।
এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বিভিন্ন জার্নাল, পড়তে পারেন। অনলাইনে এ বিষয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে, আপনি চাইলে অনলাইন থেকে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
৪. অন্যকে পরামর্শ দিন এবং অন্যের কাছ থেকে নিন
আপনার কোথাও কোন ভুল হচ্ছে কি না, আপনার আচরণগত কোন সমস্যা আছে কি না, আপনার কাজের পদ্ধতির কোন ভুল আছে কি না এসব কিছু আপনি আপনার সহকর্মীর কাছ থেকে জানার চেষ্টা করুন।
আপনি যদি কারো আচরনে কষ্ট পেয়ে থাকেন কিংবা কোন সহকর্মী ভুল করছে তাহলে তাকে ভালোভাবে বলুন যেন আপনার সহকর্মী বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে।
মনে রাখবেন আপনি যদি কারো ভুল সংশোধন করে দেয়ার চেষ্টা করেন তবে সেও এ ব্যাপারে আপনাকে সহায়তা করবে।
আপনার সহকর্মীকে কখনো সবার সামনে বকবেন না, এতে করে সে কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
৫. অন্যকে বুঝার চেষ্টা করুন
আফিসে আসলাম, কাজ করলাম, চলে গেলাম এভাবে সফলতা সম্ভব নয়। অফিসে আপনার অন্যান্য কর্মীদের সম্পর্কে ভাবুন, তাদের শখ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন, তাদের কাজের ধরন ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।
এতে করে কাজে বৈচিত্র্য, ও সৃজনশীলতা চলে আসবে।
৬. সর্বদাই পজিটিভ আচরন করুন
পরিস্থিতি যাই হোক না কেন অফিসে সবসময় হাসি মুখে থাকার চেষ্টা করুন। যেকোনো পরিবেশ পরিস্থিতিতে পজিটিভ আচরন করুন। আবসর সময়ে আপনার সহকর্মীদেরকে সময় দিন, গল্প করুন।
তাদের চিন্তা ভাবনা নিয়ে আলোচনা করুন। ছুটির দিনে তাদের সাথে ঘুরতে যান, এতে করে সবার সাথে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে।
আরও পড়ুন,
*লেখাটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন*
I was recommended this web site by my cousin. I’m not sure whether this post is written by him as nobody else know such
detailed about my problem. You’re incredible! Thanks!