বাসা থেকে শুরু করে অফিস পর্যন্ত সর্বত্রই এখন কম্পিউটারের ব্যবহার। কারণ বর্তমান যুগটাই হচ্ছে কম্পিউটারের যুগ। কি না করা যায় কম্পিউটারের মাধ্যমে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় পেশা ফ্রিল্যান্সিং যা কম্পিউটার ছাড়া একেবারেই অসম্ভব। বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয়ে অনেক আগেই।
নতুন অবস্থায় কম্পিউটারের গতি অনেক বেশী থাকে কিন্তু কিছুদিন ব্যবহার করার পর ধীরে ধীরে গতি কমে যায় ফলে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর মাঝে বিরক্তি চলে আসে। কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে সময়ও অনেক অপচয় হয়। ৫ মিনিটের কাজ ৩০ মিনিট লেগে যায়।
আপনার কম্পিউটার কি স্লো? কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার উপায় খুঁজছেন? উত্তর হ্যাঁ হলে আমি বলব আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস পাবেন যা আপনার কম্পিউটারে প্রয়োগ করলে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপের গতি বৃদ্ধি পাবে।
আসুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক, কম্পিউটার দ্রুত করার উপায় বা কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার উপায় কি?
সুচীপত্র
- কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার উপায়
- ১. জাঙ্ক ফাইল রিমুভ করে দিন
- ২. অব্যবহৃত ও অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার রিমুভ করুন
- ৩. ডিক্স ডিফ্রাগমেন্ট (Disk Defragment) করুন নিয়মিত
- ৪. কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত রাখুন
- ৫. শর্টকাট, ম্যালওয়্যার ও স্পাইওয়্যার ভাইরাস মুক্ত করুন
- ৬. Cooke এবং ব্রাউজিং হিস্টরি ডিলিট করুন
- ৭. ডিস্ক ক্লিনাপ করুন নিয়মিত
- ৮. অপ্রয়োজনীয় স্টার্টআপ প্রোগ্রাম কমিয়ে ফেলুন
- ৯. ব্যবহার করুন থার্ড পার্টি সফটওয়্যার
- ১০. উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি ফ্রেশ রাখুন
- ১১. অব্যবহৃত ফন্ট মুছে দিন
- ১২. হার্ড ডিস্ক এর জায়গা বৃদ্ধি করুন
- ১৩. স্পিড বৃদ্ধি করুন স্টার্ট মেনুর
- ১৪. Ram Upgrade করুন
- ১৫. কম্পিউটার পরিষ্কার রাখুন
- ১৬. কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করুন
- ১৭. Recycle Bin খালি রাখুন
- ১৮. ড্রাইভার আপডেট রাখুন
কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার উপায়
কম্পিউটার স্লো হলে করণীয় কি? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই যথাযথভাবে খুঁজে পায় না। তাই একটু স্লো হয়ে গেলে মনে করে থাকি কম্পিউটারের সমস্যা আর তখনই নিয়ে যাই সার্ভিসিং সেন্টারে, খরচ হয় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা বা তারও বেশী।
আর নয় সময় অপচয় কিংবা টাকা অপচয়। আসুন জেনে নেয়া যাক, কম্পিউটার স্লো হলে করণীয় কি?
১. জাঙ্ক ফাইল রিমুভ করে দিন
কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় অটোম্যাটিক্যালি কিছু জাঙ্ক ফাইল তৈরি হয়ে থাকে। এ জাঙ্ক ফাইলগুলো কম্পিউটারে দীর্ঘদিন জমা হয়ে থাকলে এক সময় কম্পিউটারের গতি কমে যায়। তাই কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার জন্য এই জাঙ্ক ফাইলগুলোকে রিমুভ করতে হয়।
কম্পিউটারের জাঙ্ক ফাইলগুলো রিমুভ করার জন্য Run অপশনে গিয়ে recent লিখে Enter প্রেস করলে একটি উইন্ডো ওপেন হবে, সেখানে যে ফাইল বা ফোল্ডার থাকবে সেগুলোকে সিলেক্ট করে ডিলিট করে দিতে হবে।
এই কাজটি হয়ে গেলে, একইভাবে prefetch লিখে Enter প্রেস করে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলোকে ডিলিট করতে হবে। এরপর temp, %temp% লিখে একই পদ্ধতিতে জাঙ্ক ফাইলগুলোকে ডিলিট করে দিতে হবে।
Run অপশনটির ব্যবহার করে কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করা যায়, তার জন্য অপশনটিতে tree লিখে Enter প্রেস করতে হবে।
Run অপশনটিকে আপনি চাইলে ডেক্সটপ এ এনে রাখতে পারেন অথবা কি বোর্ডের উইন্ডোজ বাটন চেপে ধরে R বাটন চাপলে Run অপশনটি দ্রুত চলে আসবে। এতে ১-২ মিনিটে এই সহজ কাজটি করতে পারবেন।
একদিন পরপর অথবা প্রতিদিন এই সহজ কাজটি করলে কম্পিউটারের গতি কখনো স্লো হবে না।
২. অব্যবহৃত ও অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার রিমুভ করুন
প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল করার সময় অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও আমরা যখন নতুন কম্পিউটার কিনি তখন দোকানদার কিছু সফটওয়্যার ইন্সটল করে দেয় যার অনেকগুলোই ব্যবহার করা হয় না।
অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো অনেক সময় কম্পিউটারের গতিকে স্লো করে দেয়। এই অব্যবহৃত কিংবা অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার গুলোকে আন ইন্সটল করে দিলে কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি পাবে।
অব্যবহৃত ও অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইন্সটল করার জন্য প্রথমে আপনাকে স্টার্ট মেনু থেকে কন্ট্রোল প্যানেলে যেতে হবে তারপর প্রোগ্রাম এন্ড ফিচারস অপশনে গিয়ে আনইন্সটল করে দিতে পারবেন খুব সহজেই।
৩. ডিক্স ডিফ্রাগমেন্ট (Disk Defragment) করুন নিয়মিত
ডিক্স ডিফ্রাগমেন্ট শব্দটি অনেকের কাছে নতুন হতে পারে। কম্পিউটারের হার্ড ডিক্স থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ফাইলগুলোকে একত্রিত করাই মূলত ডিক্স ডিফ্রাগমেন্ট এর কাজ।
এই জমে থাকা ফাইলগুলোর কারণে কম্পিউটারের গতি স্লো হয়ে যায়। তাই বছরে অন্তত ৬ থেকে ৭ বার হার্ড ডিক্স ডিফ্রাগমেন্ট করতে পারেন। এতে করে আপনার কম্পিউটারের গতি ঠিক থাকবে।
এই কাজটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে মাই কম্পিউটারের প্রপারটিস এ যেতে হবে তারপর পারফর্মেন্স ইনফরমেশন এন্ড টুলস এ গিয়ে অ্যাডভান্স টুলস এ যেতে হবে।
সেখান থেকে ওপেন ডিক্স ডিফ্রাগমেন্ট এ গিয়ে ফাইলগুলোকে মুছে দিতে হবে। আপনার কাছে কঠিন মনে হলে নিচের চার্টটি দেখে নিন।
My Computer > Properties > Performance Information and Tools > Advanced Tools > Open Disk Defragmenter
আপনি চাইলে উক্ত অপশনটিতে সরাসরি যেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে সার্চ বারে Disk Defragmenter লিখে সার্চ করতে হবে তাহলে দ্রুত অপশনটি পেয়ে যাবেন।
৪. কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত রাখুন
ইন্টারনেট এবং পেনড্রাইভ দুইভাবেই ভাইরাস ঢুকতে পারে আপনার কম্পিউটারে। কম্পিউটারের জন্য ভাইরাস একটি আতংকের নাম।
কারণ কম্পিউটারের ভাইরাস আপনার কম্পিউটারের সকল ফাইল, সফটওয়্যার নষ্ট করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। এমনকি পুরো কম্পিউটারকেই ধংশ করে দিতে পারে।
এসব কম্পিউটারের ভাইরাসকে প্রতিহত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে ভালো মানের এন্টিভাইরাস। বাজারে অনেক ধরণের এন্টিভাইরাস কিনতে পাওয়া যায় যেমন, Kaspersky, Microsoft Security Essential.
আপনার কম্পিউটারে যদি সর্বদাই পেনড্রাইভ ব্যবহার করে থাকেন তবে অবশ্যই USB Disk Security ব্যবহার করতে হবে, এতে আপনার কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত থাকবে।
কারণ বেশিরভাগ ভাইরাস পেনড্রাইভ এর মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে থাকে। পিসির গতি বাড়ানোর উপায় হিসেবে এই উপায়টি হতে পারে অনেক কার্যকরী।
৫. শর্টকাট, ম্যালওয়্যার ও স্পাইওয়্যার ভাইরাস মুক্ত করুন
স্পাইওয়্যার, শর্টকাট এবং ম্যালওয়্যার ভাইরাসগুলো মূলত পেনড্রাইভ এর মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এসকল ভাইরাস কম্পিউটারে থাকলে কম্পিউটারের গতি স্লো হয়ে যায়।
কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার উপায় হিসেবে এ সকল ভাইরাস থেকে কম্পিউটারকে মুক্ত রাখা প্রয়োজন। এর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে USB Disk Security.
৬. Cooke এবং ব্রাউজিং হিস্টরি ডিলিট করুন
কম্পিউটার কেনার পর থেকে অনেকেই এই কাজটি করে না। ব্রাউজারের কুকি এবং ব্রাউজিং হিস্টরিগুলো র্যামের ভিতরে জমা হয়ে থাকে ফলে ধীরে ধীরে র্যামের গতি কমে যায় আর র্যামের গতি কমে গেলে কম্পিউটারের গতিও কমে যায়।
তাই প্রতিদিন অথবা একদিন পরপর হলেও কুকিস এবং ব্রাউজিং হিস্টরি মুছে ফেলা উচিৎ। এই কাজটি সহজে করার জন্য ব্রাউজার ওপেন করে Shift+Ctrl+Delete চাপলে ডিলিট হয়ে যাবে সব হিস্টরি এবং কুকিস। কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
৭. ডিস্ক ক্লিনাপ করুন নিয়মিত
ডিস্ক ক্লিনাপ করে খুব সহজে হার্ডডিস্ক হতে অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলা যায়। এর জন্য আপনাকে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে ডিস্ক ক্লিনআপ লিখে সার্চ করতে হবে।
তারপর Disk CleanUp অপশনটি আসলে সেখানে প্রবেশ করে আলাদা আলাদাভাবে ড্রাইভ সিলেক্ট করে ডিস্ক ক্লিন করতে পারবেন।
তবে সতর্ক থাকবেন ড্রাইভ যেন কোনভাবেই ডিলিট না হয়ে যায়।
৮. অপ্রয়োজনীয় স্টার্টআপ প্রোগ্রাম কমিয়ে ফেলুন
কম্পিউটার ওপেন করার সময় অটোম্যাটিক্যালি কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম চালু হয়ে যায়। এই অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলোর কারণে কম্পিউটার ওপেন হতে অনেক সময় নিয়ে থাকে।
ফলে র্যামের জায়াগা কমে যায় যার ফলে কম্পিউটারের গতি কমে যায়। কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার উপায় হিসেবে এই অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের অটোম্যাটিক স্টার্ট বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে।
এই কাজটি করার জন্য নিচের চার্টটি ফলো করতে পারেন।
Run > Write “msconfig” > Press “Enter”
এখান থেকে যে প্রোগ্রামগুলোর আপনার দরকার নেই সেগুলোকে ডিসঅ্যাবল করে দিন।
৯. ব্যবহার করুন থার্ড পার্টি সফটওয়্যার
বর্তমানে অনলাইনে অসংখ্য থার্ড পার্টি সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এর মধ্যে CCleaner সবচেয়ে ভালো ফলাফল দিয়ে থাকে। কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর উপায় হিসেবে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন অনায়াসেই।
প্রতিদিন অথবা একদিন পরপর CCleaner এর কাজগুলো করতে পারেন।
জেনে রাখুন, হ্যাকারের হাত থেকে স্মার্টফোন রক্ষা করার উপায়
১০. উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি ফ্রেশ রাখুন
উইন্ডোজ রেজিস্ট্রিতে বিভিন্ন এরর এবং সমস্যার কারণে কম্পিউটারের গতি কমে যায়। বিভিন্ন ভাইরাস যেমন স্পাইওয়্যার বা ম্যালওয়্যার ও অ্যাডওয়্যার নামক ভাইরাসগুলো কম্পিউটারে প্রবেশের পর প্রথমেই টার্গেট করে উইন্ডোজ রেজিস্ট্রিকে।
যার ফলে উইন্ডোজ রেজিস্ট্রির কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ধংশ করে দেয়। তাই কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার জন্য উইন্ডোজ রেজিস্ট্রিকে সবসময় পরিস্কার এবং ফ্রেশ রাখা প্রয়োজন।
উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি সাধারনত ম্যানুয়ালি এবং সফটওয়ারের মাধ্যমে পরিস্কার করা যায়। তবে ম্যানুয়ালি পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ডিলিট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তবে সতর্কতার সাথে পরিষ্কার করলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিষ্কার করাটাই সবচেয়ে নিরাপদ। উইন্ডোজ পরিষ্কার করার জন্য অনলাইনে অনেক সফটওয়্যার পাওয়া যায়।
এদের মধ্যে অসলজিক্স অনেক ভালো কাজ করে। প্রতিদিন একবার করে এই সফটওয়্যার রান করে উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি পরিষ্কার রাখা যায়। কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার উপায় হিসেবে এই কাজটিকে গুরুত্ব দিতে পারেন।
১১. অব্যবহৃত ফন্ট মুছে দিন
কম্পিউটারে উইন্ডোজ দেয়ার সময় ডিফল্ডভাবে অনেক ফন্ট অ্যাড হয়ে যায় যার অনেকগুলোই ব্যবহার করা হয় না। অথবা ম্যানুয়ালি অনেক ফন্ট ইন্সটল করা হয় যার বেশিরভাগই ব্যবহার করা হয় না।
এই ফন্টগুলো সাধারনত লেখা লেখির কাজে ব্যবহার করা হলেও অনেক স্পেস নিয়ে রাখে যা কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দিতে পারে।
ফন্ট ডিলিট বা আনইনস্টল করার জন্য নিচের চার্টটি ফলো করুন।
Start Menu >> Control Panel >> Fonts
ফন্ট এ যাওয়ার পর অব্যবহৃত ফন্টগুলো ডিলিট করে দিতে পারেন খুব সহজেই। কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর উপায় হিসেবে এটি হতে পারে অন্যতম উপায়।
১২. হার্ড ডিস্ক এর জায়গা বৃদ্ধি করুন
হেডলাইন দেখে আপনার হয়তো মনে হতে পারে হার্ড ডিস্কের স্পেস বা জায়গা বৃদ্ধি করতে নতুন হার্ড ডিস্ক কিনতে হবে। আসলে বিষয়টি এমন নয়। আপনার হার্ড ডিস্ক এ অনেক পুরাতন ফাইল রয়েছে যা মোটেও প্রয়োজনীয় নয়।
এই অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো অহেতুক আপনার কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কের জায়গা দখল করে আছে। উক্ত অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ডিলিট করে দিলে হার্ড ডিস্কের অনেক জায়গা বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ খালি থাকবে।
প্রতিটি কম্পিউটারে অন্তত ৩০% জায়গা খালি রাখা প্রয়োজন। তাহলে কম্পিউটারের গতি কমে যাবে না এবং কম্পিউটার চলবে নতুনের মত।
১৩. স্পিড বৃদ্ধি করুন স্টার্ট মেনুর
কম্পিউটারে এক্সপি উইন্ডোজ যারা ব্যবহার করে থাকেন, কম্পিউটার দ্রুত করার উপায়টি শুধুমাত্র তাদের জন্য। সাধারণত উইন্ডোজ এক্সপি এর স্টার্ট মেনু একটু ধীর গতি সম্পন্ন হয়ে থাকে। নিচের পদ্ধতিটি অবলম্বন করে খুব সহজেই আপনি এই গতি বৃদ্ধি করতে পারেন।
Run >> Write “regedit” >> Press Enter >> Open a New Window “Registry Editor” >> HKEY_CURRENT-USER >> Control Panel >> Desktop >> Menushowdelay >> Open a New Window “Edit String” >> Value Data >> Write “1” >> Press Ok Button.
এই কাজটি করলে আপনার কম্পিউটারের গতি অনেক গুণে বৃদ্ধি পাবে। কম্পিউটার দ্রুত করার উপায় হিসেবে এই টোটকাটি অনেক বেশি কার্যকরী।
১৪. Ram Upgrade করুন
আজ থেকে ৭-৮ বছর পূর্বে আমরা সাধারণত ২ জিবি র্যাম ব্যবহার করতাম। তখন কম্পিউটার অনেক বেশি স্লো কাজ করত। কিন্তু বর্তমান যুগে অফিসে কিংবা বাসায় বিভিন্ন কাজ করার জন্য কমপক্ষে ৮ জিবি র্যাম দরকার হয়।
আপনার কম্পিউটারে যদি ৪ জিবি র্যাম থাকে তবে তা ৮ জিবি পর্যন্ত বৃদ্ধি করুন। কারণ র্যাম বেশি থাকলে কম্পিউটারের গতি অনেক বেশি পাওয়া সম্ভব। এতে অবশ্য আপনাকে টাকা দিয়ে র্যাম কিনে নিতে হবে।
১৫. কম্পিউটার পরিষ্কার রাখুন
কম্পিউটারের ভিতরে ধুলো বা ময়লা জমতে দেয়া উচিৎ নয়। কারণ ধুলো ময়লা জমে গেলে গ্রাফিক্স কার্ড এবং প্রসেসর অধিক মাত্রায় গরম হয়ে যায়।
ফলে অনেক সময় কম্পিউটার নিজে থেকেই রিস্টার্ট নেয় অথবা বন্ধ হয়ে যায় পাশাপাশি কম্পিউটার অনেক স্লো কাজ করে।
১৬. কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করুন
কম্পিউটারের পারফর্মেন্স বা কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খুব সহজ একটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে Performance Option লিখে সার্চ দিলে একটি নতুন উইন্ডো আসবে।
সেখান থেকে আপনার পছন্দমতো পারফর্মেন্স সিলেক্ট করে দিতে পারবেন। পিসি ফাস্ট করার উপায় গুলোর মধ্যে আরও একটি অন্যতম উপায় হচ্ছে নিয়মিত ড্রাইভ রিফ্রেশ করা।
১৭. Recycle Bin খালি রাখুন
ডিলিট করা ফাইল বা ফোল্ডার সরসরি ডিলিট না হয়ে প্রথমিক পর্যায়ে Recycle Bin এ জমা হয়ে থাকে। এই ফিচারটি ইউজারের সুবিধার জন্যই দেয়া হয়েছে।
অনেক সময় ভুলবশত কোন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বা ফোল্ডার ডিলিট হয়ে গেলে অনেক ভোগান্তি ভোগ করা লাগতে পারে। ইউজাররা যেন এই ভোগান্তি থেকে খুব রক্ষা পায় তাই Recycle Bin অপশনটি দেয়া হয়েছে।
কারণ ডিলিট করা ফাইল পুনরায় ফিরিয়ে আনা যায় এখান থেকে। তবে দীর্ঘদিন এখানে ফাইল জমা হয়ে থাকলে এবং ফাইল এর সংখ্যা অনেক হয়ে গেলে কম্পিউটারের গতি স্লো হয়ে যায় পাশাপাশি অনেক প্রবলেম এর সৃষ্টি করে।
এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার উপায় হচ্ছে নিয়মিত Recycle Bin এর ফাইলগুলো ডিলিট করে ফোল্ডারটিকে খালি রাখা। কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার উপায় হিসেবে এই উপায়টি অনেক সহজ এবং কার্যকরী।
১৮. ড্রাইভার আপডেট রাখুন
নতুন বা আপডেট ড্রাইভার আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে দিতে পারে নতুন জীবন। নতুন জীবন পেলে তো স্লো কম্পিউটারের গতি দ্রুত হবেই। তাই আর দেরি না করে আজকেই ড্রাইভারগুলোকে আপডেট করে নিন অথবা নতুন ড্রাইভার দিয়ে দিন।
কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার উপায় মোট ১৮টি উল্লেখ করেছি। আপনি চাইলে উপরের সবগুলো টিপস ফলো করতে পারেন। এগুলো ছাড়া কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার উপায় আর আমার জানা নেই। আপনার যদি জানা থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্ত, আগামীতে দেখা হবে নতুন কোন টপিকস নিয়ে। ততদিনে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এটাই কামনা।
আরও পড়ুন,
*লেখাটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো*
Hello, i read your blog occasionally and i own a similar one and i was
just wondering if you get a lot of spam responses?
If so how do you protect against it, any plugin or anything you can advise?
I get so much lately it’s driving me mad so any support is very much appreciated.