সেই প্রাচীনকাল থেকেই কালোজিরা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কালোজিরার উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। অর্থাৎ বলা চলে সকল রোগের মহাঔষধ এই কালোজিরা।
শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি থেকে শুরু করে মানসিক শান্তি, জ্বর, মাথা ব্যথা ইত্যাদি অনেক কাজ করে থাকে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও কালোজিরার রয়েছে অবিশ্বাস্য ক্ষমতা।
আসুন তাহলে জেনে নেই- কালোজিরার উপকারিতা এবং কালোজিরার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
সুচীপত্র
- কালোজিরার উপকারিতা এবং কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
- ১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
- ২. দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি
- ৩. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
- ৪. ভালো ঘুমের জন্য
- ৫. মাথা ব্যথা নিরাময়
- ৬.সর্দি-কাশি নিরাময়
- ৭. চর্মরোগ নিরাময়ে
- ৮. বদহজম দূর করতে
- ৯. হৃদরোগ বা হার্টের রোগ নিরাময়ে
- ১০. উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
- ১১. ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ নিয়ন্ত্রণে
- ১২. অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে
- ১৩. আমাশয় নিরাময়ে
- ১৪. দাতের ব্যথা সারাতে
- ১৫. লিভার ক্যান্সারের প্রতিহত করতে
- ১৬. হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রোগ নিরাময়ে
- ১৭. অনিয়মিত ঋতুস্রাব সারাতে
- ১৮. পিঠের ব্যথা উপশমে
- ১৯. বাতের ব্যথা উপশমে
- ২০. অর্শ রোগ বা পাইলস নিরাময়ে
- ২১. চুল পড়া রোধ করতে
- ২২. মায়ের দুধ বৃদ্ধি করতে
- ২৩. শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি তরান্বিত করতে
- ২৪. ত্বকের আদ্রতা বৃদ্ধি করতে
- ২৫. যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে
- কালোজিরার অপকারিতা
কালোজিরার উপকারিতা এবং কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
এ পর্যায়ে আমরা জানবো কালোজিরার উপকারিতা কি এবং কোন ক্ষেত্রে কি পরিমান কালোজিরা কিভাবে খেতে হবে অর্থাৎ কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
আমরা কম বেশি সকলেই জানি যাদের শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাদের রোগ বালাই অনেক কম হয়ে থাকে।
আর যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা একটুতেই অসুস্থ হয়ে পরে। তাই বলা যেতে পারে, শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সুস্থ থাকার জন্য অপরিহার্য।
নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপকারিতা হচ্ছে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে, প্রতিদিন ১ চামচ কালোজিরা অথবা দু এক ফোঁটা কালোজিরার তেলের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন,
২. দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি
একটা শিশু জন্মের পর থেকেই স্বাভাবিকভাবে তার শরীরের বৃদ্ধি হয়। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে কালোজিরা খাওয়ানো ঠিক নয়।
একটা ৫ বছরের উপরের বাচ্চাকে নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ালে তার শরীর সতেজ থাকে এবং তার শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি আরও বেশি বৃদ্ধি পায়।
শিশু থেকে শুরু করে পূর্ণ বয়স্ক এমনকি বৃদ্ধরাও এই কালোজিরা খেতে পারেন চোখ বন্ধ করে। তবে বিশেষজ্ঞরা গর্ভবতী মহিলাদের কালোজিরা খেতে নিষেধ করে থাকেন।
খাওয়ার নিয়ম
আমরা জানি বিভিন্নভাবে কালোজিরা খাওয়া যায়। যেমন ভর্তা করে, মধুর সাথে মিশিয়ে, তরকারির সাথে ইত্যাদি। যেকোনোভাবেই কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে।
৩. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার উপায় নিয়ে অনেকেই অনেক পড়াশোনা করে থাকেন। কিন্তু আপনি জানেন কি! নিয়মিত কালোজিরা খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়?
হ্যা তাই, প্রতিদিন নিয়মিত কালোজিরা বা কালোজিরার তেল খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন নিয়ম করে কালোজিরা খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এর ফলে ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায়।
খাওয়ার নিয়ম
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা খাওয়ার নিয়মটা একটু ভিন্ন। এক কাপ লাল চা এর সাথে প্রথমে এক চামচ পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে সেখানে এক চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেতে হবে।
প্রতিদিন ৩ বার করে খেলে আশানুরূপ ফলাফল আশা করা যায়।
আরও পড়ুন,
৪. ভালো ঘুমের জন্য
নির্ভেজাল ঘুম একজন মানুষের জন্য অপরিহার্য একটি বিষয়। ঘুম কম কিংবা বেশি কোনটাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য কালোজিরার বিকল্প নেই। নিয়মিত কালোজিরা খেলে রাতে পরিপূর্ণ ঘুম অবশ্যই হবে।
বিশেষ করে যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত কালোজিরা খেলে তাদের ঘুমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
খাওয়ার নিয়ম
কালোজিরা অথবা কালোজিরার তেল নিয়মিত খেলে ঘুমের সমস্যা দূর হবে। নির্ভেজাল ঘুমের জন্য কালোজিরা অনেকটা ঘুমের ঔষধের মত কাজ করে।
৫. মাথা ব্যথা নিরাময়
একটু মাথা ব্যথা হলেই আমরা ঔষধের উপর নির্ভর করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কালোজিরার তেল মাথা ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে।
যদিও বিভিন্ন কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে। ঘন ঘন মাথা ব্যথা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
সাধারন মাথা ব্যথা কমানর জন্য ঔষধের পরিবর্তে কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন নির্দ্বিধায়।
কালোজিরার তেল ব্যবহারের নিয়ম
হঠাৎ মাথা ব্যথা শুরু হলে ১ চামচ কালোজিরার তেল হাতের তালুতে নিয়ে পুরো মাথা ভালোভাবে মালিশ করতে হবে।
পাশাপাশি দুই কানের পাশে, কপালের উভয় চিবুকে এবং কপালে দিনে ২ থেকে ৩ বার কালোজিরার তেল মালিশ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
খাওয়ার নিয়ম
এক চামচ কালোজিরার তেলের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন ৩ বার করে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ খেলে মাথা ব্যথা থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।
৬.সর্দি-কাশি নিরাময়
আবহাওয়া একটু পরিবর্তন হলেই আমাদের সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা, জ্বর ইত্যাদি লেগেই থাকে। আমাদের দেশের আবহাওয়াটাই এমন।
আমাদের মাঝে অনেকেই ডাক্তারের কাছে গিয়ে থাকেন একটু ঠাণ্ডা লাগলেই। অথচ আমরা জানি না আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে এর চমৎকার ঔষধ কালোজিরা।
সর্দি-কাশিতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
এক কাপ লাল চা এর সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিন বার খেতে হবে। অথবা এক চামচ খাঁটি মধুর সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে ৩ বার খেতে হবে।
যদি কালোজিরার তেল হাতের কাছে পাওয়া না যায় তবে আস্ত কালোজিরা মধুর সাথে মিশিয়ে চিবিয়ে খেলেই কাজ করবে।
সর্দি-কাশি সেরে না যাওয়া পর্যন্ত ঘাড়ে ও মাথায় দিনে দুই থেকে তিন বার কালোজিরার তেল মালিশ করতে হবে।
জ্বর, ব্যাথা সর্দি কাশি একসাথে হলে, দুই চামচ তুলসী পাতার রস, ৩ চামচ খাঁটি মধু এর সাথে এক চামচ কালোজিরা মিশিয়ে ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে দ্রুত আরগ্য হবে।
অনেক সময় সর্দি বসে যায়, সে ক্ষেত্রে কালোজিরা ভালোভাবে বাটনা দিয়ে বেটে কপালে প্রলেপ দিলে ভালো হয়ে যাবে। এছাড়াও পিঠে এবং বুকে কালোজিরার তেল মালিশ করলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন,
৭. চর্মরোগ নিরাময়ে
দাদ, চুলকানি, খোসপাঁচড়া ইত্যাদির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। এসব চর্মরোগ খুব সহজে সারতে চায় না।
মাঝে মাঝে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকও ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে, এর একটা সহজ সমাধান হচ্ছে কালোজিরা।
কালোজিরার উপকারিতা পাওয়া যাবে যদি নিয়ম করে নিচের ফর্মুলা অনুযায়ী খাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়।
চর্মরোগ নিরাময়ে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে সেখানে দিনে ১-২ বার কালোজিরার তেল লাগিয়ে নিতে হবে তবেই কালোজিরার উপকারিতা ভালো পাওয়া যাবে।
পাশাপাশি এক চামচ কালোজিরার তেলের সাথে এক চামচ খাঁটি মধু এবং এক চামচ কাচা হলুদের রস একসাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ৩ বার করে খেতে হবে।
এভাবে দুই থেকে তিন সপ্তাহ খেলে এবং মালিশ করলে চর্মরোগ নিরাময় হবে। কালোজিরার উপকারিতাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
৮. বদহজম দূর করতে
বর্তমান সময়ে সব থেকে বড় সমস্যা বদ হজম। খাবারে একটু এদিক সেদিক হলেই শুরু হয়ে যায় বদ হজম। আবার ডায়াবেটিস রোগীদের বদ হজম তো একটি প্রধান সমস্যা।
কালোজিরার উপকারিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বদহজম দূর করা। নিচের নিয়মে কালোজিরা খেলে বদহজম দূর হবে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়াই।
বদহজম দূর করতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
এক চামচ অথবা দুই চামচ কালোজিরা ভালোভাবে বেটে পানির সাথে মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার খেলে বদহজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
এক মাস এভাবে খেলে বদহজমের সমস্যা তো দূর হবেই সাথে সাথে হজম শক্তিও বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি পেট ফাপা সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।
৯. হৃদরোগ বা হার্টের রোগ নিরাময়ে
সারা পৃথিবী জুড়ে হার্টের রোগ অর্থাৎ হৃদরোগ ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর সংখ্যা কম নয়। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে রয়ে হৃদরোগী।
এই হৃদরোগ কমাতে বা হৃদরোগ হতে মুক্তি পেতে কালোজিরার খাওয়ার প্রতি তাগিদ দেন ডাক্তারেরা। কালোজিরার উপকারিতা গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
আসুন জেনে নেই, কালোজিরা কিভাবে খেলে বা ব্যবহার করলে হৃদরোগ হতে মুক্তি মিলবে?
হৃদরোগ নিরাময়ে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
আমাদের অনেকেরই জানা আছে যে, কালোজিরার তেল হার্টের রোগীর জন্য অনেক বেশি উপকারী। এ ক্ষেত্রে কালোজিরা খাওয়ার নিয়মটা একটু অন্যরকম।
এক কাপ দুধের সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল প্রতিদিন দুই বার করে খেলে হার্টের রোগ অর্থাৎ হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কালোজিরার তেল খাওয়ার পাশাপাশি বুকে নিয়মিত মালিশ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন,
১০. উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
বর্তমানে ব্লাড প্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ একটি সাধারণ রোগে পরিণত হয়েছে। যদিও উচ্চ রক্তচাপ একটি জটিল রোগ।
এবং একবার এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলে সারা জীবন ঔষধ খেতে হয়। অর্থাৎ নিয়মিত ঔষধ না খেলে হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন হতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ঔষধ সেবন না করেও এই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নিয়মিত কালোজিরা ব্যবহার এবং খাওয়ার মাধ্যমে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এটি কালোজিরা এবং কালোজিরার তেলের উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
এক চামচ মধুর সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিন বার খেতে হবে। পাশাপাশি প্রতিদিন সকাল বেলা সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করতে হবে এবং সাথে একটি অথবা দুটি রসুনের কোয়া চিবিয়ে খেয়ে রোদে কমপক্ষে ৩০ মিনিট বসে থাকতে হবে।
এভাবে প্রতিদিন নিয়ম করে করতে পারলে উচ্চরক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ হবেই।
১১. ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ নিয়ন্ত্রণে
ডায়াবেটিস কি এবং ডায়াবেটিস কত প্রকার? এ নিয়ে একটি লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনারা চাইলে সেখান থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
কিছুদিন আগেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগটি খুব কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটি প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে।
একটা কথা বলে রাখা ভালো, যদি একবার কারোর ডায়াবেটিস রোগ হয়ে যায় তবে তা সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব নয়। তবে ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এবং করতে হয়।
কালোজিরা মানব দেহের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে আনে। কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ উল্লেখযোগ্য।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কালোজিরা কিভাবে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য কালোজিরার উপকারিতা পুরোপুরি পাওয়া যাবে? সহজ উত্তর, নিচের নিয়ম মেনে কালোজিরা নিয়মিত খেলে খুব সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানির সাথে এক চামচ কালোজিরা বা এক চামচ কালোজিরা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এছাড়াও প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার করে এক চামচ কালোজিরার তেল গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে খেলে এক শত ভাগ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ভাতে যেহেতু কার্বোহাইড্রেট এর মাত্রা বেশি থাকে তাই ভাতের বদলে এক চামচ কালোজিরার তেল এক কাপ লাল চা এর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিন বার করে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আরও পড়ুন,
১২. অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে
খাবারে অনিয়ম, ভাজা পোড়া খাবার, অতিরিক্ত তেল খাওয়া, ফাস্ট ফুড ইত্যাদির কারনে অ্যাসিডিটি হয়ে থাকে। যেটাকে আমরা গ্যাস্ট্রিক বলে অনেকেই জানি।
গ্যাস্ট্রিক হলে স্বাভাবিকভাবে গ্যাসের ঔষধ খেতে হয় কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে, কালোজিরা পাকস্থলীর অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ অন্যতম। এবার আসুন জেনে নিই, কালোজিরা কিভাবে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে?
অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
এক চামচ খাঁটি মধুর সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল দিনে ৩ বার করে দুই থেকে তিন সপ্তাহ নিয়মিত খেলে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
১৩. আমাশয় নিরাময়ে
আমাশয় রোগটির সাথে আমার কম বেশি সবাই পরিচিত। কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি উপকারিতা হচ্ছে কালোজিরা খেলে খুব সহজে আমাশয় নিরাময় করা সম্ভব।
এবার আসুন জেনে নিই, কালোজিরা কিভাবে খেলে সহজে আমাশয় নিরাময় করা যায়?
আমাশয় নিরাময়ে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
এক চামচ খাঁটি মধুর সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল দিনে ৩ বার করে দুই থেকে তিন সপ্তাহ নিয়মিত খেলে আমাশয় নিরাময় করা সম্ভব।
১৪. দাতের ব্যথা সারাতে
ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে আমাদের দাঁতের ব্যথা উঠে। এর জন্য আমরা ডেন্টিস এর কাছে যাই। অনেক ডেন্টিস মাউথওয়াস সাজেস্ট করে থাকে।
আমাদের গ্রামে গঞ্জে এমন অনেক মানুষ আছে যারা এত দামী মাউথওয়াস ব্যবহার করার সামর্থ্য রাখে না।
কলজিরার অনেকগুলো উপকারিতার মধ্যে একটি উপকারিতা হচ্ছে দাঁতের ব্যথা নিরাময় করা। এবার আসুন জেনে নিই দাঁতের ব্যথায় কালোজিরার ব্যবহার।
দাঁতের ব্যথায় কালোজিরার ব্যবহার
কালোজিরা মুখের ভেতরে অবস্থানরত জীবাণুদের মেরে ফেলে। তাই দাঁতে ব্যথা হলে প্রতিদিন কুসুম গরম পানির সাথে কালোজিরার তেল অথবা কালোজিরা মিশিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।
আরও পড়ুন,
১৫. লিভার ক্যান্সারের প্রতিহত করতে
লিভারের সুরক্ষায় কালোজিরার ভুমিকা অসাধারণ। আফলা টক্সিন নামক এক প্রকার বিষ রয়েছে যা লিভার ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম উপকারিতা হচ্ছে কালোজিরা নিয়ম করে খেলে এই আফলা টক্সিন বিষ ধংস করে দেয়।
আসুন তাহলে জেনে নিই, কিভাবে কালোজিরা খেলে লিভার ক্যান্সার প্রতিহত করা যাবে?
লিভার ক্যান্সার প্রতিহত করতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
এক চামচ কালোজিরার তেলের সাথে এক গ্লাস ত্রিপলার শরবত ভালোভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন তিনবার করে ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ খেলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
১৬. হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রোগ নিরাময়ে
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপকারিতা হচ্ছে এটি হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রোগ নিরাময় করে।
হাঁপানি রোগ সারাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
এক কাপ দুধ বা এক কাপ রঙ চা এর সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে প্রতিদিন তিনবার করে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়াও প্রতিবেলা খাবারের সাথে কালোজিরার ভর্তা খেলেও শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগের উপশম করবে।
১৭. অনিয়মিত ঋতুস্রাব সারাতে
বর্তমানে অনিয়মিত ঋতুস্রাব বেশ দেখা যায়। কালোজিরার গুণাগুণ গুলোর মধ্যে একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব দূর করে।
আসুন জেনে নিই, কিভাবে কালোজিরা খেলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব দূর হবে?
অনিয়মিত ঋতুস্রাব দূর করতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
এক কাপ কালোজিরার তেল এর সাথে এক কাপ কাঁচা হলুদের রস অথবা এক কাপ আতপ চাল ধোয়া পানি মিশিয়ে প্রতিদিন তিনবার করে নিয়মিত খেলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব দূর হবে।
১৮. পিঠের ব্যথা উপশমে
এখন পর্যন্ত আমরা প্রায় ১৭টি কালোজিরার গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। কালোজিরার আরও একটি বিশেষ গুণ হল এটি নিয়মিত খেলে পিঠের ব্যথা উপশম করে।
পিঠের ব্যথা সারাতে কালোজিরা কিভাবে খেতে হয়?
নিয়মিত কালোজিরার তেল মালিশ করার মাধ্যমে পিঠের ব্যথার উপশম হয়। এছাড়াও বিভিন্নভাবে কালোজিরা খেলেও ব্যথা কমাতে মোটামুটি সহায়তা করে।
আরও পড়ুন,
১৯. বাতের ব্যথা উপশমে
একটু বয়স হলেই বাতের ব্যথা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আমাদের দেশে এর প্রভাব অনেক বেশি। বিশেষ করে যারা অধিক শারীরিক পরিশ্রম করে তাদের বাতের ব্যথা বেশি দেখা দিয়ে থাকে।
কালোজিরার গুণাগুণ গুলোর মধ্যে একটি প্রধান গুণ হল, নিয়মিত কালোজিরা খেলে এবং ব্যবহার করলে বাতের ব্যথা দূর হয়।
বাতের ব্যথা দূর করতে কালোজিরা কিভাবে খেতে হয়?
এক কাপ লাল চা অথবা এক চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল প্রতিদিন তিনবার করে তিন থেকে চার সপ্তাহ খেলে বাতের ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
এর পাশাপাশি ব্যথার স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করে সেখানে নিয়মিত কালোজিরার তেল মালিশ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
২০. অর্শ রোগ বা পাইলস নিরাময়ে
আমরা অনেকেই এই রোগটির সাথে পরিচিত। আদিকাল থেকেই এই রোগটি রয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে পাইলস রোগের ভালো চিকিৎসাও রয়েছে।
ভেষজ চিকিৎসাও রয়েছে অর্শ বা পাইলস রোগের। কালোজিরার গুণাগুণ গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম গুণ বা উপকারিতা হচ্ছে নিয়মিত কালোজিরা খেলে এবং ব্যবহার করলে অর্শ বা পাইলস রোগ নিরাময় করা সম্ভব।
পাইলস রোগ নিরাময়ে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
এক চামচ তিলের তেল ও এক চামচ মাখন এর সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল প্রতিদিন খালিপেটে তিন থেকে চার সপ্তাহ খেলে পাইলস বা অর্শ রোগ নিরাময় হবে।
২১. চুল পড়া রোধ করতে
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা চুল নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন। অনেক টাকা পয়সা খরচ করেও চুল পড়া বন্ধ করতে পারছেন না। তাদের জন্য রয়েছে কালোজিরা।
কালোজিরার গুণ গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম গুণ হচ্ছে এটির সঠিক ব্যবহারে মাথার চুল পড়া কমায় এবং পুরোপুরি বন্ধ করে।
চুল পড়া প্রতিরোধে কালোজিরার ব্যবহার
চুল পড়া প্রতিরোধ করার জন্য ভালো ফলাফল পেতে হলে প্রতিদিন কালোজিরা খেতে হবে। এতে চুল পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পাবে।
আরও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য এর পাশাপাশি চুলের গোঁড়ায় কালোজিরার তেল মালিশ করতে হবে। এভাবে চার থেকে ৫ সপ্তাহের মধ্যে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন,
২২. মায়ের দুধ বৃদ্ধি করতে
অনেক মা আছেন যারা সন্তান জন্মদানের পর তাদের দুধের পরিমাণ অনেক কম। তাদের বাচ্চারা পর্যাপ্ত দুধ পায় না। ফলে বাচ্চারা অপুষ্টিতে ভোগে।
তাদের জন্য রয়েছে কালোজিরা। কালোজিরার গুণাগুণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করা।
নিয়মিত কালোজিরা খেলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে যদি নিচের পদ্ধতি ঠিকঠাক অনুসরণ করা হয়।
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
৫ থেকে ১০ গ্রাম কালোজিরা বাটনা দিয়ে ভালোভাবে বেটে মিহি করে এক গ্লাস দুধের সাথে প্রতিদিন রাতে ঘুমনোর আগে খেলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়।
এভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন নিয়মিত খেতে হবে। এতে মায়ের বুকের দুধের প্রবাহ তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
পাশাপাশি কালোজিরার ভর্তাও খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও এক চামচ কালোজিরার তেলের সাথে এক চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে ভালো ফলাফল আশা করা যায়।
২৩. শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি তরান্বিত করতে
শিশুদের দৈহিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য বৃদ্ধি তরান্বিত করতে কালোজিরার বিকল্প নেই। কালোজিরার গুণাবলীর মধ্যে এটি অন্যতম।
এছাড়াও শিশুদের ব্রেইনের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে বেশ ভালো কাজ করে কালোজিরা। তবে একটা কথা বিশেষভাবে মাথায় রাখা দরকার যে, দুই বছরের নিচের শিশুদের কালোজিরা বা কালোজিরার তেল খাওয়ানো যাবে না।
শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে কালোজিরা কিভাবে খেতে হয়
কালোজিরা ভর্তা করে খাওয়া যেতে পারে। মধুসহ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও শুধু কালোজিরা চিবিয়েও খাওয়ানো যেতে পারে।
এক চামচ কালোজিরার তেলের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়েও প্রতিদিন এক অথবা দুই বার করে খাওয়ানো যেতে পারে।
মনে রাথা আবশ্যক শিশুদের খুব বেশি পরিমানে কালোজিরা না খাওয়ানোই ভালো। অল্প পরিমাণে নিয়মিত খেলে তাতে ক্ষতি নেই।
২৪. ত্বকের আদ্রতা বৃদ্ধি করতে
আমরা জানি শীতকালে ত্বকের আদ্রতা কমে যায় এবং তক খসখসে হয়ে যায়। যার ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের লোশন ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে, কালোজিরার তেল এই লোশনের কাজটি খুব সুন্দরভাবে করে থাকে।
জয়তুনের তেল এবং কালোজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে শরীরে মালিশ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
এতে করে ত্বকের আদ্রতা ঠিক থাকবে এবং ত্বকে কোন প্রকার চর্মরোগ আক্রমণ করতে পারবে না। শিশুদের শরীরে সারা বছর জুড়ে এই তেল ব্যবহার করা যাবে কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
জেনে নিন,
২৫. যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে
নারী কিংবা পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা রাখে এই কালোজিরা। কালোজিরার উপাকারিতা গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম একটি উপকারিতা।
আদিকাল থেকেই মানুষ এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে কোন প্রকার ভেজাল ছাড়াই। প্রতিদিন খাবারের সাথে কালোজিরা খেলে পুরুষের পুরুষত্বহীনতা দূর হয় এবং স্পার্ম সংখ্যা তুলনামূলক বৃদ্ধি পায়।
সারা পৃথিবীজুড়ে প্রচলিত আছে যে, নিয়মিত কালোজিরা মধু এবং জয়তুনের তেল খেলে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
এক চামচ কালোজিরার তেল, এক চামচ মাখন, এক চামচ জয়তুন তেল এক চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে প্রতিদিন তিনবার করে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ খেলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
একটি কথা মাথায় রাখা দরকার, পুরনো কালোজিরার তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
কালোজিরার অপকারিতা
এতক্ষণ আমরা কালোজিরার প্রায় ২৫টি উপকারিতার কথা বিস্তারিত জানলাম সাথে জানতে পারলাম কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম।
এখন আমরা জানবো কালোজিরা খাওয়ার অপকারিতা। কখন এবং কেন কালোজিরা খাওয়া যাবে না?
১. গর্ভাবস্থায়
গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়া পুরোপুরি নিষেধ। কারণ এতে গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। এমনকি গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে। এটি কালোজিরার অপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি।
২. শিশুদের ক্ষেত্রে
দুই বছরের উপরে যেসব শিশুর বয়স তাদের কালোজিরা খাওয়ানো যেতে পারে কিন্তু কম পরিমাণে। কিন্তু দুই বছরের কম যেসব শিশুর বয়স তাদের কালোজিরা কিংবা কালোজিরার তেল কোনটিও খাওয়ানো একেবারেই উচিত নয়।
বলা যেতে দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের কালোজিরার তেল কিংবা কালোজিরা খাওয়ানো পুরোপুরি নিষেধ। এটি কালোজিরার অপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম।
আরও পড়ুন,
কালোজিরার গুনাগুণ বা কালোজিরার উপকারিতা কিংবা কালোজিরার তেলের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত তথ্য জানতে পারলাম। কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম গুলোও জানা হয়ে গেল।
পাশাপাশি কালোজিরার অপকারিতা সম্পর্কেও বিশেষ ধারণা পেলাম। আশা করা যায়, কালোজিরা নিয়ে আর কোন মন্তব্য বাকি নেই। তবে আপনাদের কারো কাছে যদি কোন তথ্য থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের মতামত আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।