ছোট কিংবা বড়, ছেলে কিংবা মেয়ে ফেসবুককে কে না চেনে? ওয়েব ওয়ার্ল্ডে হাজার হাজার সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নাম ফেসবুক।
এটি বর্তমানে শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে লাখ লাখ মানুষ।
বাংলাদেশের শত শত মানুষের পরিবার নির্ভর করছে ফেসবুকের উপর। আজকে আমরা ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো ইনশাআল্লাহ।
তো ফেসবুক মার্কেটিং কি বা কেন ফেসবুক মার্কেটিং করা প্রয়োজন সেটা জানার পূর্বে আমাদের জানা দরকার মার্কেটিং কি?
সুচীপত্র
মার্কেটিং কি?
সহজ ভাষায় মার্কেটিং বলতে বুঝায়, সুবিধা বা মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে কোন প্রোডাক্ট, কোম্পানি, অথবা প্রতিষ্ঠানের প্রচারের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের মনের ভিতর জায়গা করে নেয়া।
এখানে নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের কথা বলা হয়েছে এর কারণ, ধরুন আপনার একটি পণ্য আছে সেটা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, যদি পণ্যটি মহিলাদের কাছে বেশি প্রচার করা হয় তবে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।
এমনও হতে পারে, আপনার একটি পণ্য আছে, আপনি শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষের নিকট সেটি বিক্রি করতে চান তবে বাংলাদেশের মানুষের নিকট প্রচার করলে বেশি লাভবান হওয়া যাবে।
যদি বাংলাদেশের মানুষের নিকট প্রচার না করে সেটি ইংল্যান্ডের মানুষের নিকট প্রচার করেন তবে চোখ বন্ধ করে বলা যেতে পারে এতে আপনার কোন ধরণের সুবিধা বা মুনাফা আসবে না।
আসুন এবার জেনে নেই ফেসবুক মার্কেটিং কি?
ফেসবুক মার্কেটিং কি?
সহজ ভাষায় বলা যেতে পারে, ফেসবুক ব্যবহার করে কোন পণ্যের প্রচার প্রচারনা করাকেই মূলত ফেসবুক মার্কেটিং বলা হয়। এর মাধ্যমে যেকোনো ধরণের বিজ্ঞাপন আপনি দিতে পারেন টাকার বিনিময়ে। আপনি নিজেই কিংবা ফেসবুক সমন্ধে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে এ কাজটি করাতে পারেন।
ফেসবুক ব্যবহার করে শুধু পণ্য প্রচারই নয় এর আরও কিছু লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য রয়েছে, যেমন, ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করা, ভিডিও এর ভিউ বৃদ্ধি করা, ফেসবুক পেইজ এর লাইক বাড়ানো, প্রোডাক্ট বা পণ্য বিক্রি, বা হতে পারে বিভিন্ন ধরণের সেবা ইত্যাদি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ফেসবুক মার্কেটিং করা হয়ে থাকে।
ফেসবুক মার্কেটিং দুইভাবে করা যেতে পারে। একটি হছে ফেসবুক অরগ্যানিক মার্কেটিং এবং অপরটি হচ্ছে ফেসবুক পেইড মার্কেটিং। আসুন জেনে নেই, এই দুই ধরণের মার্কেটিং এর মধ্যে কিছু পার্থক্য-
ফেসবুক অরগ্যানিক মার্কেটিং এবং ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য
ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এবং ফেসবুক অরগ্যানিক মার্কেটিং এর মধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য নিচে তুলে ধরা হল-
- ফেসবুক অরগ্যানিক মার্কেটিং এ কোন টাকা পয়সা খরচ করতে হয় না অপরদিকে ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এ টাকা পয়সা খরচ করতে হয়।
- ফেসবুক অরগ্যানিক মার্কেটিং এ দ্রুত প্রচার প্রচারনা চালানো যায় না অপরদিকে ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এ খুব দ্রুত প্রাচার প্রচারণা চালানো যায়।
- ফেসবুক অরগ্যানিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে সহজেই একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের নিকট পণ্যের প্রচার করা যায় না অপরদিকে ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের নিকট পণ্যের প্রচার করা যায়।
- ফেসবুক অরগ্যানিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে সহজে কাস্টমার বা গ্রাহক পাওয়া সম্ভব না অপরদিকে ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই (একদিনের মধ্যেই) কাস্টমার বা গ্রাহক পাওয়া সম্ভব।
- ফেসবুক অরগ্যানিক মার্কেটিং এ প্রচুর সময় লাগে সেটা হতে পারে ৬ মাস ১ বছর কিংবা তারও বেশি অপরদিকে ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এ আজকেই পাওয়া যেতে পারে সাফল্য।
ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন?
কেন ফেসবুক মার্কেটিং করবেন এর উত্তর কিছুটা শুরুর দিকে আছে, তবুও কিছু স্পেশাল কারণে আপনার ফেসবুক মার্কেটিং করা উচিৎ। আসুন জেনে নেই কি কি কারণে ফেসবুক মার্কেটিং করা উচিৎ।
১. স্বাভাবিকভাবে অধিক সংখ্যক মানুষ যেখানে ঘুরাঘুরি করে সেখানে মার্কেটিং বা পণ্য প্রচার করলে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়।
পৃথিবীজুড়ে বর্তমানে ফেসবুকের ভিজিটর সংখ্যা প্রায় ২.৬ বিলিয়ন অর্থাৎ ২৬০ কোটি। চিন্তা করা যায়?
বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩৩৭১৩০০০ জন (অর্থাৎ ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ১৩ হাজার)। একবার ভাবুন, কেন আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করবেন?
২. ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি চাইলে যে কোন দেশ, শহর, লোকাল এরিয়াকে টার্গেট করে নির্ভুলভাবে আপনার পণ্যের প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন।
৩. বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ১৩ হাজার জন। যদি প্রতিজনের কাছে গিয়ে প্রচারণা চালানো যায় তবে অনেক সময়ের ব্যপার, হতে পারে তা কল্পনার বাইরে, তাছাড়া কতো টাকা খরচ হতে পারে একটু চিন্তা করে দেখেন? তাই অল্প সময়ে অল্প টাকায় প্রচারণা করা যেতে পারে ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
৪. অনলাইন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৫. ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই এবং খুব কম সময়ে পেতে পারেন অধিক সংখ্যক গ্রাহক।
কি কি সার্ভিস নেয়া যেতে পারে?
১. ফেসবুক পেইজ প্রোমোশন সার্ভিস
ফেসবুক পেইজ প্রোমোশন সার্ভিস অর্থাৎ আপনার ফেসবুক পেইজের লাইক বৃদ্ধি করা। এর সুবিধা হল- একটি ফেসবুক পেইজে যদি ১ লক্ষ লাইক থাকে এবং সেখানে যদি আপনি আপনার পণ্যের ভিডিও বা ছবি ইত্যাদি পোস্ট করেন তবে হাজার হাজার মানুষের কাছে সেটি পৌঁছে যাবে। এতে নতুন করে আপনার কোন টাকা পয়সা খরচ করতে হবে না।
২. পোস্ট প্রোমোশন সার্ভিস
পোস্ট প্রোমোশন বলতে, ফেসবুক পেইজ এর একটি নির্দিষ্ট পোস্ট কে প্রোমোট করা। ধরুন আপনার পেইজে তেমন লাইক নাই, আপনি চাচ্ছেন শুধুমাত্র আপনার প্রোডাক্টি মানুষের কাছে পৌঁছে যাক, তাহলে আপনি নির্দিষ্ট পোস্টটি প্রোমোট করতে পারেন।
৩. Male লাইক এবং Female লাইক / কাস্টমার
ধরুন, আপনার ফেসবুক পেইজ এর মাধ্যমে এমন একটি পণ্য বিক্রি করতে চাচ্ছেন যা শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য। তবে Male লাইক বা পুরুষ ব্যক্তিরা যত বেশি আপনার পেইজের সাথে যুক্ত থাকবে ততো বেশি উপকৃত হওয়া যাবে।
আপনার পণ্যটি যদি শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য হয়ে থাকে তবে Female লাইক আপনাকে বেশি উপকৃত করবে।
৪. এরিয়া ভিত্তিক লাইক / কাস্টমার
শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এরিয়ায় বসবাসকারীদের নিকট আপনার পণ্য প্রচার করতে চান তবে নির্দিষ্ট এরিয়ার মানুষদের লাইক আপনাকে বেশি উপকৃত করবে।
এরিয়া বলতে একটি দেশের যেকোনো শহর হতে পারে, যেমন ঢাকা/ অথবা ঢাকার মতিঝিল, হতে পারে যেকোনো জেলা।
আমাদের সার্ভিসসমূহ
আপনি চাইলে আমাদের সার্ভিসগুলো দেখে নিতে পারেন।
-
-
- ফেসবুক পেইজ প্রোমোশন
- পোস্ট প্রোমোশন
- Male লাইক
- Female লাইক
- Male কাস্টমার
- Female কাস্টমার
-
আমাদের থেকে সার্ভিস নিতে চাইলে সরাসরি মোবাইলে অথবা ইমেইলে অথবা আমাদের ফেসবুক পেইজ এ কথা বলতে পারেন।
যোগাযোগ:
মোবাইল নং 01770 312 774
ইমেইলঃ helptunebd1@gmail. com
অফিস:
৪৩/সি, মায়াকানন, বাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা ১২১৪ (দ্বিতীয় ও চতুর্থ ফ্লোর)
সফলতার জন্য সর্বদাই মহান আল্লাহর উপর ভরসা রাখা উচিৎ আর মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে পারেন ফেসবুক মার্কেটিং। আপনার ব্যবসার সফলতা কামনা করছি।
আরও পড়ুন,
*লেখাটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো*