Download Free FREE High-quality Joomla! Designs • Premium Joomla 3 Templates BIGtheme.net
Home » পড়াশোনা » ব্যক্তিত্ব গঠনের কার্যকরী ১৩টি কৌশল

ব্যক্তিত্ব গঠনের কার্যকরী ১৩টি কৌশল

বৃক্ষের ফল দ্বারা আমরা যেমন গাছ চিনতে পারি তেমনি একটি মানুষকে চেনা যায় তার ব্যক্তিত্ব দিয়ে। মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে একজন মানুষকে কখনোই বিচার করা যায় না।

একজন মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো তার ব্যক্তিত্ব আর তা দিয়েই তাকে বিচার করা যায় যে লোকটি ভালো নাকি খারাপ। ব্যক্তিত্ববান মানুষকে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে।

কথায় আছে, যে মানুষের ব্যক্তিত্ব নেই সে মানুষ পশুর সমান। ব্যক্তিত্ব গঠন করা সকল মানুষের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়, তাই সব মানুষ ব্যক্তিত্ববান হতে পারে না।

ব্যক্তিত্ব গঠন করতে হলে অনেক কষ্ট করতে হয়। একজন মানুষের আবেগ এবং চিন্তা এদুটির ভারসাম্যের মাধ্যমে ব্যক্তিত্বকে গঠন করতে হয়।

আপনি যদি আপনার ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটাতে পারেন তবে সেই ব্যক্তিত্ব আপনার কর্মজীবনে, ব্যক্তিজীবনে, এবং সামাজিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। অনেক মানুষই মনে করে থাকে যে, মানুষের স্বভাব চরিত্র কখনোই পরিবর্তন হয় না।

কিন্তু বিষয়টা এমন নয়। একটু মনোযোগ দিয়ে চেষ্টা করলেই মানুষ তার স্বভাব চরিত্রে নিয়ে আসতে পারে অমূল পরিবর্তন। আসুন জেনে নেই ব্যক্তিত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কৌশল।

13 Effective Ways To Improve Your Personality

ব্যক্তিত্ব গঠনের কার্যকরী কৌশল

ব্যক্তিত্ব গঠন করতে খুব বেশি না, মাত্র ১৩ টি কৌশল আপনি যদি নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারেন তবে আশা করা যায়, আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

আপনার ব্যক্তিত্ব হবে আকর্ষণীয়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক, কি কি কৌশল অবলম্বন করলে ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠবে আকর্ষণীয়।

১. নিজেকে একজন ভালো শ্রোতা হিসেবে তৈরি করুন

আপনার বক্তব্য বা কথা কেউ যদি মনোযোগ সহকারে শুনে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন সেই লোকটির কাছে আপনি গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক তেমনিভাবে, আপনি যদি কারো কথা খুব মনোযোগ সহকারে শুনেন তাহলে লোকটিরও তাই মনে হবে, যেমনটা আপনার কাছে মনে হয়েছিল। এই অমূল্য গুণটি আপনার মাঝে নিয়ে আসতে হলে আপনাকে হতে হবে একজন ভালো শ্রোতা।

সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলা যেমন মানুষের একটি গুণ ঠিক তেমনি কারো কথা খুব মনোযোগ সহকারে শোনাটাও চমৎকার একটি গুণ। এটিকে একপ্রকার দক্ষতাও বলতে পারেন। একজন মনোযোগী শ্রোতা তার আশপাশ থেকে অনেক কিছু অজানা বিষয় সম্পর্কে শিখতে বা জানতে পারে।

আপনি যদি কারো কথা মনোযোগ দিয়ে কিংবা গুরুত্বসহকারে শুনেন তাহলে মানুষও আপনার কথা গুরুত্বসহকারে শুনবে। এর ফলে আপনি তাদের সাথে মন খুলে কথা বলতে পারবেন, এতে কোন প্রকার দ্বিধা কাজ করবে না। তাই আপনি আপনার মাঝে এই মহৎ গুণটি যুক্ত করে নিতে পারেন। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব খুব সহজেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

২. জানার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করুন

যেকোনো বিষয়ের প্রতি জানার আগ্রহ সবার থাকে না। বৃদ্ধি করুন আপনার জানার আগ্রহের পরিধি। এতে ব্যক্তিত্ব বিকাশের পাশাপাশি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। আপনি যখন অনেক কিছু জানবেন তখন আপনি অন্যদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন।

কারণ অনেকেই আপনার কাছ থেকে অনেক কিছুই জানতে চাইবে এবং আপনার কাছ থেকে নতুন নতুন কিছু শিখতে পারবে। এতে আপনার কোন ক্ষতি তো হবে না বরং আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে কয়েক গুণ।

আপনার কাছে মানুষ যখন অনেক কিছু জানতে চাইবে তখন আপনিও তাদের সাথে কথা বলার অনেক বড় একটি স্পেস পেয়ে যাবেন। ফলে আপনার জ্ঞান আর চার দেয়ালের মধ্যে আটকে থাকবে না। ছড়িয়ে যাবে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। আর এভাবেই সকলের কাছে আপনি হয়ে উঠবেন একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ।

৩. আলাপ আলোচনা বাড়িয়ে দিন

একে অপরকে ভালোভাবে চেনার জন্য পরস্পরের সাথে আলাপ আলোচনার বিকল্প কিছু নেই। আপনি কোন বিষয়ে অভিজ্ঞ হলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তা আরও বেশি বেড়ে যায় এবং আলাপ আলোচনায় বেশি বেশি অংশ নিতে পারবেন।

আপনি যদি ভালো বক্তা হতে পারেন তাহলে তো কোন কথাই নাই, খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন। তবে মনে রাখা জরুরী, পৃথিবীতে কেউ সব বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে পারে না। তাই যেকোনো বিষয়ে কারো সাথে আগ বাড়িয়ে কথা বলা কিংবা তর্কে জড়ানো মোটেও উচিৎ না। এতে করে মানুষের নিকট হাসির পাত্র হয়ে যেতে পারেন।

আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আপনি যেমন আপনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে পারবেন ঠিক তেমনি আপনিও নতুন নতুন বিষয় শিখতে পারবেন সহজেই। এতে করে আপনার অভিজ্ঞতায় যুক্ত হবে অনেক নতুন নতুন বিষয় যা আপনার ব্যক্তিত্বকে করবে মজবুত।

৪. পরিচিতি বৃদ্ধি করুন

প্রতিদিন পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করুন নতুন নতুন মানুষের সাথে। কেননা অল্প কিছু মানুষের সাথে উঠা বসা করলে বা পরিচিতি কম থাকলে আপনার জ্ঞানের বিস্তার কমে যাবে, আপনার জানার পরিধি সংকুচিত হয়ে যাবে। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে যোগাযোগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার পরিচিতি যত বেশি হবে, আপনার নেটওয়ার্কিং বা যোগাযোগও ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে। নতুনদের সাথে পরিচিতি বাড়লে তাদের ধারণা, আচার আচরণ, মতামত, কালচার সম্পর্কে বিশদ আকারে জানতে পারবেন সহজেই। এতে আপনি খুব সহজে অধিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন এবং এই জ্ঞান আপনার মানসিকতা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়াও অধিক পরিচিতি থাকলে অন্য মানুষের প্রতি আপনার সহনশীলতা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। ফলে আপনি হতে পারবেন একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ।

৫. ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করুন

ব্যক্তিত্ববান মানুষ হতে হলে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত দক্ষতাগুলোকে বৃদ্ধি করতেই হবে। ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে কয়েকটি বিষয়ের উপর আপনাকে নজর দিতে হবে, যেমন- কোন বিষয়কে পজিটিভ নেয়ার অভ্যাস করা, অন্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা, নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিতি বৃদ্ধি করা, অন্যদের কথা মনোযোগের সাথে শোনার অভ্যাস করা।

অন্য মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং মনের মাঝে তার কথার অনুভূতি নিয়ে আসা একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। এই দক্ষতা আপনাকে শুধুমাত্র পেশাগত জীবনে সফলতা এনে দিবে না বরং ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনেও এর সফলতা রয়েছে।

পৃথিবীতে সব বড় বড় মানুষদের এ দক্ষতাটি ছিল বলেই তারা আজ বিখ্যাত। তাই আপনার ব্যক্তিত্বকে সুসংগঠিত করতে চাইলে অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত দক্ষতাগুলোকে বৃদ্ধি করতে হবে।

৬. নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন

জন্ম থেকেই নেতৃত্বদানের ক্ষমতা আসে এমন ধারণা আমাদের মাঝে অনেকেরই আছে কিন্তু এই কথাটির কোন ভিত্তি নেই, একেবারেই মিথ্যা কথা। একজন মানুষকে জীবনে সফল হতে হলে অবশ্যই তাকে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। কয়েকটি কাজ করার মাধ্যমে আপনি নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন। যেমন-

      • আপনার কাজের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে
      • মানুষের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করার মাধ্যমে
      • পজিটিভ চিন্তা ভাবনা করার মাধ্যমে
      • যে কোন কাজ দায়িত্ব নিয়ে করার মাধ্যমে
      • ছোট বড় সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার মাধ্যমে

নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য চাকুরীজীবীরা সবসময় চেষ্টা করে থাকেন, কারণ এতে করে সবার সাথে ভালো একটি রিলেশনশিপ তৈরি হয়, এর ফলে দ্রুত প্রমশনের রাস্তা অনেকটাই খুলে যায়।

এই দক্ষতা শুধু যে কর্মজীবনেই প্রয়োজনীয় বিষয়টা এমন নয়, এই দক্ষতা আপনাকে পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, এমনকি রাজনৈতিক জীবনকেও সফল করার ক্ষমতা রাখে।

আপনার নেতৃত্বদানের ক্ষমতা যত বেশি হবে আপনার ব্যক্তিত্বও ততো বেশি উন্নত হবে। তাই নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা অতীব জরুরী। 

৭. উপস্থাপন করার কৌশল শিখুন

যে কোন বিষয়ে আপনি যদি খুব ভালো উপস্থাপন করতে পারেন তবে আপনি কোথাও আটকে থাকবেন না। এই দক্ষতা শুধুমাত্র চাকুরীর ইন্টার্ভিউ এর জন্য না বরং এই দক্ষতার ফল জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই আপনি পাবেন।

উপস্থাপনা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ গুন যা আপনার আত্মবিশ্বাসকে বাড়তে সহায়তা করতে পারে। আপনি ভালো উপস্থাপনা করতে পারলে মানুষের মাঝে আপনার প্রতি পজিটিভ ধারণা তৈরি হবে। 

কেউ যদি তার মনের কথা কারো সামনে বলতে চান তবে উপস্থাপন করার কৌশল জানার বা শেখার কোন বিকল্প নেই। ভালো উপস্থাপন করতে পারলে দিন দিন আপনার প্রতি মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে। আপনার সৃজনশীলতা, উন্নতমানের বচনভঙ্গিকে কাজে লাগিয়ে একজন দক্ষ উপস্থাপক হতে পারেন খুব সহজেই। এতে করে আপনি হয়ে উঠবেন উন্নত ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

৮. অন্যকে সম্মান দিতে শিখুন

আপনি যদি কারো প্রশংসা করেন তবে সেও আপনার প্রশংসা করবে। আপনি যদি কাউকে সম্মান দিয়ে কথা বলেন তবে সেও আপনাকে সম্মান দিয়ে কথা বলবে। ব্যক্তিত্ববান মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ গুন হচ্ছে কাউকে কোন কিছুর ওয়াদা প্রদান করলে তা রক্ষা করা।

এছাড়াও স্পষ্টতা, সততা একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষের চমৎকার একটি গুন। মানুষকে অবজ্ঞা করে কথা বলা অত্যন্ত ছোট এবং হীন মনমানসিকতার পরিচয় বহন করে। আপনি যদি ধনী-গরীব, ফকির-মিসকিন, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, সাদা মানুষ- কালো মানুষ সবার সাথে সম্মানের সাথে কথা বলেন তাহলে তারাও আপনার সাথে সম্মানের সাথে কথা বলবে, এবং সবার সামনে আপনাকে উপরে উঠাতে সাহায্য করবে।

তাই উন্নত ব্যক্তিত্ব গঠনে মানুষকে সম্মান দেয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। তখনই আপনি একটি উন্নত এবং সম্মানজনক জীবন উপভোগ করতে পারবেন যখন আপনি অন্যকে সম্মান দেবেন।

৯. রুচিশীল পোশাক পরিধান করুন

একজন মানুষ কি রকম ব্যক্তিত্বের অধিকারী তা অনেকটাই প্রকাশ পায় তার পরিহিত পোশাকে। বাজে ধরণের পোশাক আপনাকে দেখাবে দৃষ্টিকটু এবং আপনার ব্যক্তিত্বকে করবে ক্ষুণ্ণ। তাই পোশাক নির্বাচন করুন আপনার বয়স এবং দেহের গঠন অনুসারে।

শুধুমাত্র অফিসের ক্ষেত্রে নয় বরং সবক্ষেত্রে, সবজায়গায় কি ধরণের পোশাক পড়লে আপনার ব্যক্তিত্ব অক্ষুন্ন থাকবে সে বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। মনে রাখবেন, মানানসই পোশাক একদিকে যেমন আপনার রুচির পরিচয় বহন করবে ঠিক তেমনি আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচয়ও বহন করবে।

১০. আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করুন

সফলতার মূলমন্ত্র হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাসই পারে একজন মানুষকে সফলতার দ্বার প্রান্তে পৌঁছিয়ে দিতে। আপনি যদি কোন কাজ আত্মবিশ্বাসের সাথে করতে থাকেন তবে একদিন না একদিন আপনি সফল হবেন।

যে কোন কাজে আত্মবিশ্বাস রাখলে আপনি তো তাতে সফল হবেনই পাশাপাশি আপনার ব্যক্তিত্বেরও সুন্দর পরিচয় ফুটে উঠবে। আর যদি কোন কাজে আপনার আত্মবিশ্বাস না থাকে তবে সেই কাজে আপনি কখনোই সফল হতে পারবেন না।

আর জীবনে সফলতা না থাকলে ব্যক্তিত্বও থাকবে না, কেননা যার মাঝে হতাশা থাকে, কিংবা যে হতাশা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তার কোন ব্যক্তিত্ব থাকে না। তাই ব্যক্তিত্ববান মানুষ হতে হলে আপনাকে আত্মবিশ্বাসের প্রতি মনযোগী হতেই হবে।

১১. সামাজিকতা রক্ষা করুন

আমরা সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করি বলেই আমরা সামাজিক জীব। আর সামাজিক জীব বলেই সমাজের প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে।

সমাজের মানুষের সাথে কথা বলা, তাদের খোঁজ খবর নেয়া, তাদের অসুবিধা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা, কারো কোন সমস্যার সমাধান করে দেয়া বা ভালো পরামর্শ দেয়া এসব কিছুই সামাজিকতারই অংশ।

সামাজিকতা পালন না করে আপনি যদি চার দেয়ালের মাঝে বন্দি থাকেন তবে কখনোই আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পাবে না। কাজেই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ হতে চাইলে আপনাকে সামাজিকতা রক্ষা করতেই হবে, হতে হবে সামাজিক।

১২. পজিটিভ চিন্তা করুন

চিন্তা চেতনায় পজিটিভিটি নিয়ে আসুন। একটি কঠিন কাজের সহজেই সফলতা নিয়ে আসতে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে  ইতিবাচক বা পজিটিভ চিন্তা ভাবনা। একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে তার পজিটিভ চিন্তা।

অন্যদিকে যারা নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা করে তারা বেশির ভাগই হতাশায় ভোগে, বিষণ্ণতা হয়ে যায় তাদের চিরদিনের সঙ্গি। বলা হয়ে থাকে হতাশা গ্রস্থ মানুষের ব্যক্তিত্ব বলতে কিছু নেই।

তাই বলা যেতেই পারে ব্যক্তিত্ববান মানুষ হতে হলে সব ধরণের পরিবেশ পরিস্থিতিতে পজিটিভ বা ইতিবাচক চিন্তার কোন বিকল্প নেই।

১৩. আপনার কথা ও কাজের মিল রাখুন

একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষের একটি অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কথা এবং কাজে মিল রাখা। এমন কাজ যা আপনি পারবেন না সেটাতে না বলে দেয়াই উত্তম। বাড়াবাড়ি করে যদি সে কাজটি আপনি নিয়ে করতে না পারেন তবে তখন আপনার কথা এবং কাজের কোন মিল থাকবে না, অনেক সময় আপনি মানুষের হাসি তামাশার পাত্র হয়ে যাবেন।

এতে করে আপনার ব্যক্তিত্ব চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং ব্যক্তিত্ববান মানুষ হতে হলে কথা ও কাজে মিল রাখা অতীব জরুরী।

উপরের কয়েকটি বিষয় মনোযোগের সাথে গ্রহণ করলে এবং আপনার কাজে কর্মে সেগুলোর প্রকাশ ঘটালে আপনিও হতে পারবেন একজন ভালো ব্যক্তিত্ববান মানুষ।

 

আরও পড়ুন,

 

*লেখাটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন*

Check Also

স্ত্রী অবাধ্য হলে স্বামীর করণীয়

স্ত্রী অবাধ্য হলে স্বামীর করণীয় কি? ইসলাম কি বলে?

দাম্পত্য জীবন সুখময় করতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল মহব্বত বা ভালোবাসার কমতি রাখা একেবারেই অনুচিত। বলা …

One comment

  1. Write more, thats all I have to say. Literally, it seems as
    though you relied on the video to make your point. You clearly know what youre talking about, why waste
    your intelligence on just posting videos to your blog when you could be giving us something informative to read?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!