ধূমপান ছাড়ার সহজ উপায় খুঁজছেন? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার পূর্বে নিচের ছবিটির দিকে অন্তত একবার চোখ রাখুন।
কি দেখতে পাচ্ছেন? এখানে একটি ভয়ঙ্কর ছবি দেয়া আছে এবং লেখা আছে ধূমপানের কারণে হৃদরোগ হয়। আরও লেখা থাকে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ধূমপানের কারণে স্ট্রোক হয়, ধূমপানের কারণে গলায় ও ফুসফুসে ক্যান্সার হয় ইত্যাদি।
আপনার জানা মতে, এমন একটি খাবারের প্যাকেট দেখাতে পারবেন! যার গায়ে এমন ভয়ঙ্কর লেখা থাকে? পারবেন না। তবে কেন আপনি ধূমপান করেন? একটু চিন্তা করে দেখুন।
ধূমপান ছাড়ার সহজ উপায় খুঁজছেন তাই আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া দরকার। আসুন জেনে নেই, ধূমপান ছাড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা কি বলে?
সুচীপত্র
- ধূমপান ছাড়ার সহজ উপায়
- ১. ইচ্ছাশক্তি মজবুত করুন
- ২. ধূমপান ছাড়ার কারণগুলোকে লিখে রাখুন
- ৩. ঠাণ্ডা স্থানে যাওয়া বন্ধ করুন
- ৪. মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করুন
- ৫. ঠাণ্ডা পানি পান করুন
- ৬. মানসিক প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করুন
- ৭. এলকোহল গ্রহণের অভ্যাস ত্যাগ করুন
- ৮. ঘর পরিষ্কার রাখুন
- ৯. শরীরচর্চা করুন
- ১০. দাঁত মাজা
- ১১. ধূমপান মুক্ত স্থানে হাঁটুন
- ১২. নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
- ১৩. বন্ধুকে পাশে রাখুন
- ১৪. চা খাওয়া কমিয়ে দিন
- ১৫. মন ভালো রাখুন
- ১৬. বারবার চেষ্টা করুন
- ১৭. চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন
- ১৮. ধৈর্য্য ধারণ করুন
- প্রাকৃতিকভাবে সিগারেট ছাড়ার পদ্ধতি
ধূমপান ছাড়ার সহজ উপায়
বলা হয়ে থাকে সিগারেটের নেশা অনেক বড় ধরণের নেশা। একবার এই নেশায় আসক্ত হয়ে গেলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
কষ্টের কথা যতই বলা হোক না কেন সিগারেট ছাড়ার পদ্ধতিটি অনেক সহজ এবং কার্যকর। আসুন জেনে নেই ধূমপান ছাড়ার উপায় বা সিগারেট ছাড়ার উপায়।
১. ইচ্ছাশক্তি মজবুত করুন
প্রথমে আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি আসলেই ধূমপান ছেড়ে দিতে চান? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তবে নিজেকে আরও একটি প্রশ্ন করুন, কি কারণে আপনি ধূমপান ছেড়ে দিতে চান?
যদি উত্তর পেয়ে যান তবে ধূমপান ছাড়ার কারণগুলো মনের ভিতরে লালন করুন এবং ধীরে ধীরে ইচ্ছা শক্তিকে মজবুত করুন। কারণ ইচ্ছা শক্তি বা আত্মবিশ্বাস মজবুত না থাকলে কোন কাজেই সফল হওয়া যায় না।
২. ধূমপান ছাড়ার কারণগুলোকে লিখে রাখুন
আপনি যে কারণে ধূমপান ছাড়তে চান তার একটি তালিকা করুন। প্রতিদিন সকালে একবার করে দেখে নিন এবং সারাদিন মনের ভিতরে লালন করুন ও মনে রাখুন। এতে ধূমপানের প্রতি আপনার আগ্রহ ধীরে ধীরে কমে আসবে।
৩. ঠাণ্ডা স্থানে যাওয়া বন্ধ করুন
একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তুলনামূলক ঠাণ্ডা স্থানে গেলে ধূমপান করার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। তাই যারা ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করছেন তারা অবশ্যই এই পয়েন্টটিকে গুরুত্ব দেবেন।
ধূমপান করার কারণে মস্তিষ্ক নিকোটিনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, আর যখন আপনি ধূমপান ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন তখন সাধারণভাবে মস্তিষ্ক নিকোটিনের চাহিদা অনুভব করে।
এমন অবস্থায় যদি আপনি ঠাণ্ডা স্থানে গমন করেন তবে নিকোটিন গ্রহণের চাহিদা অনেক গুণে বৃদ্ধি পায়।
৪. মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করুন
মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ধূমপান করার আগ্রহ বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। তাই যারা ধূমপান ছেড়ে দেয়ার চিন্তা করছেন তারা মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আপনার করার আগ্রহ অনেকটাই কমে আসবে।
৫. ঠাণ্ডা পানি পান করুন
ধূমপান করার আগ্রহ সৃষ্টি হলে ঠাণ্ডা পানি পান করতে পারেন এতে করে সিগারেটের প্রতি আগ্রহ কমে আসবে। ঠাণ্ডা পানি পান করার ক্ষেত্রে চিকন পাইপ ব্যবহার করতে পারেন।
কারণ, একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চিকন পাইপ দিয়ে ঠাণ্ডা পানি পান করলে ডোপামিন নামক একটি এনজাইম নিঃসরণ হয় যা ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে।
৬. মানসিক প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করুন
মানসিক প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অনেকে ধূমপান করে থাকে। ধূমপান ছেড়ে দিতে মানসিকভাবে ভালো থাকুন, মানসিক প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করুন।
মনে রাখবেন, মানসিক প্রেসার যত কম থাকবে ধূমপানের আগ্রহ ততই কমে আসবে।
৭. এলকোহল গ্রহণের অভ্যাস ত্যাগ করুন
এলকোহল গ্রহণ করলে ধূমপানের আগ্রহ চরম মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। এলকোহল এবং ধূমপান দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
তাই ধূমপান ত্যাগ করতে চাইলে এলকোহল গ্রহণের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। মনে রাখুন, আপনি এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করছেন।
৮. ঘর পরিষ্কার রাখুন
ঘর অপরিষ্কার কিংবা অগোছালো থাকলে মন ভালো থাকে না, আর মন ভালো না থাকলে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বেড়ে গেলেই ধূমপানের আগ্রহও বেড়ে যায়।
তাই ঘর পরিপাটি রাখুন, ভালো লাগার জিনিসগুলো দিয়ে ঘর সাজিয়ে রাখুন।
৯. শরীরচর্চা করুন
বারবার ধূমপান করার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে? এমন ইচ্ছে তৈরি হওয়ার সাথে সাথে শরীরচর্চা করুন তাহলে ধূমপানের আগ্রহ অনেকটাই কমে আসবে সাথে আপনার শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকবে।
১০. দাঁত মাজা
ধূমপান করার ইচ্ছে হলেই দাঁত মাজা শুরু করে দিন এতে ধূমপান করার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাবে। তবে ঘনঘন ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজা দাঁতের জন্য ক্ষতি তাই এই কাজটি করতে আঙ্গুল ব্যবহার করতে পারেন।
১১. ধূমপান মুক্ত স্থানে হাঁটুন
ঘরে বসে থাকতে থাকতে বোর হয়ে গেছেন? একটু হাঁটা হাঁটি করলে মন্দ হয় না। তবে অবশ্যই ধূমপান মুক্ত এলাকায় হাঁটাহাঁটি করুন।
কারণ সিগারেটের ধোয়া আপনার নাকে আসলেই বিপদ বা কাউকে ধূমপান করতে দেখলে আপনারও ধূমপান করার আগ্রহ বেড়ে যাবে।
১২. নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
নিজেকে ব্যস্ত রাখার মাধ্যমে ধূমপান থেকে দূরে থাকা সম্ভব। হাতে কোন কাজ না থাকলেও কাজ বের করে নিন, শরীরচর্চা করুন, হাঁটাহাঁটি করুন, ঘরের কাজ করুন, বই পড়ুন। যেকোনো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
এতে করে ধূমপানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে না। ধূমপান ছাড়ার প্রথম এক মাস নিজেকে ব্যস্ত রাখলে ধূমপান ছাড়ার কাজটি আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
১৩. বন্ধুকে পাশে রাখুন
এমন একজন বন্ধুকে পাশে রাখতে পারেন যে অধূমপায়ী এবং সর্বদাই আপনার ভালো চায়। ধূমপান ছাড়ার ব্যাপারে আপনার পাশে থাকা বন্ধুটি আপনাকে অনেক হেল্প করতে পারবে।
১৪. চা খাওয়া কমিয়ে দিন
অনেকেই চায়ের সাথে সিগারেট খেয়ে থাকে। যদিও চা পানে অনেক উপকারিতা রয়েছে। ধূমপান ছাড়ার প্রসঙ্গে চা খাওয়া কমিয়ে দিতে পারেন কারণ, এতে ধূমপানের আগ্রহ তৈরি হতে পারে।
অথবা চিনি ছাড়া লাল চা পান করতে পারেন। লাল চায়ের বিটার টেস্ট এর কারণে ধূমপানের আগ্রহ কমে যাবে।
১৫. মন ভালো রাখুন
মন খারাপ হলেই ধূমপান করার আগ্রহ হাজার গুণে বৃদ্ধি পায়। তাই যেভাবেই হোক মন ভালো রাখার চেষ্টা করুন। যে যে কাজ গুলো করলে আপনার মন ভালো থাকে বা হয় সেই কাজগুলো বেশি বেশি করুন।
১৬. বারবার চেষ্টা করুন
প্রথমবার পারলেন না তাই বলে হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। বারবার চেষ্টা করুন। নিজেকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। নিজের সাথে আলোচনা করুন, নিজেকে বলুন কত সময়ের মধ্যে আপনি ধূমপান ত্যাগ করতে চান।
একটু একটু করে আপনার গন্তব্যের দিকে এগুতে থাকুন। এভাবেই আপনি আপনার সফলতা পেয়ে যাবেন।
১৭. চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন
হটাত করে ধূমপান ছেড়ে দিতে চাইলেই অনেক সময় তা সম্ভব হয় না। এর কারণ হচ্ছে মস্তিষ্ক নিকোটিনের সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।
হটাত যদি ধূমপান বন্ধ হয়ে যায় তবে অস্থিরতা বেড়ে যাবে, কাজে মনোযোগ আসবে না, সারাক্ষণ সিগারেটের চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাবে।
এই অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে পারেন। প্রথম এক মাস একটু কষ্ট করলেই ধূমপান ছেড়ে দেয়ার মতো দুঃসাহসিক কাজে আপনি বিজয়ী হতে পারবেন।
১৮. ধৈর্য্য ধারণ করুন
ধূমপান ছেড়ে দেয়ার উপায় বলতে গেলে ধৈর্য্য ধারণ করা বিষয়টিকে বলতেই হবে। ধূমপানের মতো বদঅভ্যাস ত্যাগ করতে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।
শুধু ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগের ক্ষেত্রেই নয় বরং সকল কাজে ধৈর্য্য ধারণ করতে হয়। ধূমপান ছাড়ার উপায় বা ধূমপান ছাড়ার সহজ উপায় তো জানা হল, কিন্তু খাবারের মাধ্যমে বা প্রাকৃতিকভাবে ধূমপান ছাড়ার উপায়ও রয়েছে।
আসুন জেনে নেই খাবারের মাধ্যমে বা প্রাকৃতিকভাবে সিগারেট ছাড়ার ওষুধ।
প্রাকৃতিকভাবে সিগারেট ছাড়ার পদ্ধতি
কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে ধূমপানের প্রতি আসক্তি বা আগ্রহ কমে যায়। বিজ্ঞানীরা এসব খাবারকে ধূমপান ছাড়ার ওষুধ কিংবা সিগারেট ছাড়ার ওষুধ হিসেবে অবিহিত করেছেন।
আসুন জেনে নেই সিগারেট ছাড়ার ওষুধগুলো কি?
১. পানি পান করুন
শরীরের ভিতরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বা বজ্র বের করে দিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে পানি। ধূমপান করা ব্যক্তির শরীরে জমে থাকা নিকোটিন বের করতে পারে পানি।
তাই প্রচুর পানি পান করা জরুরী। এছাড়াও ধূমপানের ইচ্ছে হলে ২ থেকে ৩ গ্লাস পানি পান করলে ধূমপানের ইচ্ছেটা কমে যায়। তাই যারা ধূমপান ছাড়তে চাচ্ছেন, তারা পানি পান করুন বেশি বেশি।
২. মূলার জুস পান করুন
ধূমপান করার কারণে নিকোটিন এবং আগ্রহ কমাতে নিয়মিত মূলা বা মূলার জুস পান করতে পারেন। মূলা বা মূলার জুস সিগারেটের নেশা কাটিয়ে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রাকৃতিক উপায়ে ধূমপান ছাড়ার পদ্ধতির মধ্যে এটি অন্যতম।
৩. নিয়মিত ওটস খান
নিয়মিত ওটস খেলে শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের হয়ে যায় সাথে ধূমপানের ইচ্ছে কমে যায়। গরম পানির সাথে ওটস খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। চমৎকার এই সিগারেট ছাড়ার উপায়টি হাতছাড়া করবেন না।
৪. নিয়মিত মধু খান
প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক হিসেবে মধুর রয়েছে অনেক নাম ডাক। এর গুনাগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। নিয়মিত মধু খেলে ধূমপানের ইচ্ছে কমে যায়।
তাই ধূমপান ছাড়ার পদ্ধতিতে এই উপায়টি কাজে লাগাতে পারেন খুব সহজেই।
৫. জিনসেং পাউডার
প্রতিদিন জুস বা শরবতের সাথে মিশিয়ে খেলে সারাদিন আর ধূমপানের আগ্রহ সৃষ্টি হবে না। ফলে ধূমপান ছাড়ার উপায়টি লুফে নিতে পারেন ঝামেলা ছাড়াই।
৬. আদা খেতে পারেন
ধূমপানকে সারাজীবনের জন্য তালাক দিতে চাচ্ছেন কিন্তু কোনভাবে কোন কাজ হচ্ছে না। এই অবস্থায় পকেটে রাখতে পারেন এক টুকরো আদা। যখনি ধূমপানের ইচ্ছে হবে ঠিক তখনই অল্প একটু আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নিন।
তাহলে আপনার ধূমপানের ইচ্ছেটা নষ্ট হয়ে যাবে। হাতের নাগালে থাকা ধূমপান ছাড়ার উপায়টি কাজে লাগাতে পারেন খুব সহজেই।
৭. আঙ্গুরের রস
ধূমপানের কারণে শরীরে যে ক্ষতি হয় বিশেষ করে এক ধরণের র্যাডিকেল তৈরি হয় যা ধূমপানের ইচ্ছাকে বৃদ্ধি করে। আঙ্গুরের রস নিয়মিত খেলে এই র্যাডিক্যালগুলো শরীর থেকে বের হয়ে যায় পাশাপাশি ধূমপানের ইচ্ছেটাকেও নষ্ট করে দেয়।
ধূমপান ছাড়ার এই উপায়টিকেও প্রয়োগ করতে পারেন আজ থেকেই।
৮. মরিচ বা ঝাল জাতীয় খাবার
মরিচ বা ঝাল জাতীয় খাবার খেলে ধূমপান করার ইচ্ছে থাকে না। তাই যখন ধূমপানের ইচ্ছে হবে সামান্য পরিমাণে মরিচ অথবা ঝাল জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
৯. হরিতকি
প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ হরিতকিকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। নানা ধরণের ঔষধি গুণ থাকার পাশাপাশি এটি খেলে ধূমপান করার ইচ্ছা কমে যায়।
প্রাকৃতিক উপায়ে সিগারেট ছাড়ার উপায় বলে অনেকেই এই পদ্ধতিটি ফলো করেছেন এবং ভালো ফলাফলও পেয়েছেন।
১০. যষ্ঠি মধু
কণ্ঠ ভালো করার জন্য কিংবা ঠাণ্ডা কাশি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য যষ্ঠি মধুকে অনেকেই সমাদর করে থাকে। কিন্তু যষ্ঠি মধু যে ধূমপানের বদ অভ্যাস ছাড়তে সাহায্য করতে পারে, সে কথা অনেকেই জানে না।
ধূমপানের ইচ্ছা হলেই এক টুকরো যষ্ঠি মধু চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। নিমেষেই দূর হয়ে যাবে ধূমপানের ইচ্ছা।
১১. দারুচিনি
মশলা হিসেবে দারুচিনির পরিচিতি পুরো পৃথিবী জুড়ে। মাংস রান্নায় দারুচিনির ব্যবহার হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি এছাড়াও দারুচিনির রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ।
ধূমপানের ইচ্ছে কমাতে কাজে আসতে পারে দারুচিনি। সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা হলেই এক টুকরো দারুচিনি চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন সাথে সাথে ধূমপানের ইচ্ছা চলে যাবে।
১২. গ্রিন টি
ফ্যাট কমাতে আমরা অনেকেই গ্রিন টি পান করে থাকি। ধূমপানের ইচ্ছাও কমাতে পারে এই গ্রিন টি। হাতের কাছে গ্রিন টি পাওয়া না গেলে, চিনি ছাড়া লাল চা পান করতে পারেন। ধূমপানের ইচ্ছা অনেকটাই দমিয়ে যাবে।
অনেকেই অনেক চেষ্টা করেও ধূমপান ছাড়তে পারছেন না, তাদের মাথায় শুধু একটাই চিন্তা কিভাবে ধূমপান ছাড়া যায় বা ধূমপান ছাড়ার উপায় কি? তাদেরকে বলছি, আজ থেকেই শুরু করে দিন উপরের কাজ গুলো। উপরোক্ত ধূমপান ছাড়ার পদ্ধতি গুলোতেই লুকিয়ে থাকতে পারে আপনার সুস্থ জীবন।
আজ এই পর্যন্ত, আগামীতে দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততদিনে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, এটাই কামনা।
আরও পড়ুন,
*লেখাটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো*
Very good idea. I will try
ধন্যবাদ!
Pretty section of content. I just stumbled upon your
site and in accession capital to assert that I get actually enjoyed account your blog posts.
Any way I’ll be subscribing to your feeds and even I achievement you access consistently quickly.