Download Free FREE High-quality Joomla! Designs • Premium Joomla 3 Templates BIGtheme.net
Home » ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইল » সাদা চুল কালো করার ঘরোয়া উপায়

সাদা চুল কালো করার ঘরোয়া উপায়

সংসারের চিন্তা, পড়াশুনা নিয়ে চিন্তা, অফিসের কাজ নিয়ে চিন্তা এরকম হাজারও চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অহেতুক চিন্তার কারনে আপনি আপনার কালো চুল করে ফেলেছেন ধবধবে সাদা। তাও আবার মাত্র ৩০-৩৫ বছর বয়সেই। বর্তমানে অনেকেই এই সমস্যায় জর্জরিত।

আজ আমি মাথার সাদা চুল কালো করার বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় বলবো যা নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার সাদা চুল কালো হতে বাধ্য। এর সাথে চুলের সৌন্দর্য, ও উজ্জলতাও বেড়ে যাবে অনেকাংশে।

নিচে কিছু হেয়ার মাস্ক নিয়ে আলোচনা করা হল যা ব্যবহার করলে আপনার সাদা চুল অচিরেই কালো হয়ে যাবে।

How to convert white hair into black naturally

সাদা চুল কালো করার ঘরোয়া উপায়

১. আমলা ও হেনার প্যাক

এটি তৈরি করতে আপনার মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে না। তিন চমচ আমলার পাউডার, এক চামচ কফি পাউডার, এক কাপ হেনার পেস্ট। এই তিনটি উপাদান একসাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিন তারপর ভালভাবে চুলে লাগিয়ে নিন। একঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।

চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে আপনি সালফার মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণটি মাসে একবার ব্যবহার করলেই আপনার সাদা চুল হয়ে যাবে কুচকুচে কালো আর এর সাথে সাথে আপনার চুলের জন্য যে পুষ্টি প্রয়োজন তার অভাবও পূরণ হবে। এই উপাদানের মধ্যে পুষ্টিগুণ থাকায় আপনার চুল পড়াও কমে আসবে।

২. লাল চা

সাদা চুলকে কালো কুচকুচে করতে লাল চা কে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন। লাল চা এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যা আপনার চুলের ভিতরে প্রবেশ করে চুলের রং সাদা থেকে কালোতে রুপান্তর করে দেয়।

তাছাড়াও আপানার চুলকে যদি ঝকঝকে উজ্জ্বল করতে চান তখনও লাল চা তা করে দেবে অনায়াসেই। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, কিভাবে আপনি লাল চা কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন?

এক্ষেত্রে ২ চামচ চায়ের পাতা এক কাপ পরিমান পানিতে মিশিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। ফুটানো শেষ হলে তা ঠাণ্ডা করে নিন।

তারপর তা ঘণ্টা খানেক সময় চুলে লাগিয়ে রাখুন। সবশেষে সালফার মুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে মাসে ২ বার এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে আপনি নিজেই প্রমাণ পাবেন একেবারেই হাতেনাতে।

৩. হেনা রেমিডি

এতে ব্যক্টেরিয়া বিরোধী উপাদানের পাশাপাশি অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। যেমন, এটি সাদা চুলকে কালো বানাতে পারে, এছাড়াও এটি স্কাল্পে ইনফেকশন হতে দেয় না।

এটি চুলের ভিতরে প্রবেশ করে পি.এইচ লেভেল বাড়িয়ে দেয় যা আপনার চুলকে সুন্দর করে তুলে। এটি তৈরি করতে বেশ কয়েকটি উপাদানের প্রয়োজন হয়। যেমন, ১ চামচ আমলা পাউডার, এক চামচ লেবুর রস, চার চামচ হেনা পাউডার, ২ চামচ চা পাতা।

প্রথমে ৪ চামচ হেনা পাউডারকে এক কাপ পানিতে অন্তত ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। অপরদিকে এক কাপ পানিতে চায়ের পাতা মিশিয়ে ভালোভাবে ফুটাতে হবে। চা মিশ্রিত পানি ফুটানো হয়ে গেলে তা ঠাণ্ডা করে নিয়ে তাতে হেনার পেস্ট মিশাতে হবে এবং কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।

অবশেষে আমলা পাউডার ও লেবুর রস মেশাতে হবে। মেশানো হয়ে গেলে তা লাগিয়ে নিতে পারেন আপনার চুলে, যখন দেখবেন পেস্টটি কিছুটা শুকাতে আরাম্ভ করেছে ঠিক তখনি চুল ধুয়ে নিন। এভাবে মাসে একবার ব্যবহার করলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেখতে পাবেন নিজের চোখেই।

৪. লেবুর রস ও নারিকেল তেলের মিশ্রণ

এই মিশ্রণটি চুলের ভিতরে সহজেই প্রবেশ করে এবং পিগমেন্ট সেলের গ্রোথকে বন্ধ করে দেয়। ফলে সাদা চুল সহজেই কালো হয়ে যায়। পাশাপাশি চুল সাদা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।

এই দুটি উপাদান হাতের নাগালে থাকে, তাই খুব সহজেই এই দুটি উপাদানকে চুল কালো করার কাজে ব্যবহার করতেই পারেন।

এক চামচ লেবুর রসের সাথে ২ চামচ খাঁটি নারিকেল তেল একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন, তারপর তা ভালোভাবে মাথায় এবং চুলে লাগিয়ে নিন, ৩০ মিনিট রেখে দিন তারপর সালফার মুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এই টেকনিক সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করলে ফলাফল অবশ্যই পাবেন।

৫. কারি পাতা

কিছু কারি পাতার সাথে ৩ চামচ পরিমাণ খাঁটি নারিকেল তেল একসাথে নিয়ে তা কিছু সময় ধরে গরম করতে হবে, যখন কারি পাতা কালো হতে শুরু করবে তখন চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।

এরপর কারিপাতা মিশ্রিত তেল ঠাণ্ডা করে তা মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং ম্যাসেজ করতে হবে। এক ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার প্রয়গ করতে পারবেন।

এভাবে ২-৩ সপ্তাহ করলেই আপনিও হয়ে যাবেন কালো কুচকুচে চুলের অধিকারী।

বন্ধুরা পোস্টটি যদি আপনার ভাল লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার সাদা চুলওয়ালা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

 

আরও পড়ুন,

 

*নিচের বাটনে ক্লিক করে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন*

Check Also

how to control anger

রাগ কি? রাগ কেন হয়? রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায় কি?

মানুষের মাঝে ভালো লাগা, খারাপ লাগা, সুখ-দুঃখ, হিংসা, ভালোবাসা, ঘৃণা ইত্যাদি থাকে। এসবকিছুকে  আবেগ হিসেবে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!