বর্তমানে ডায়াবেটিস পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে পরেছে। ডায়াবেটিস হয়ে থাকে মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের কারণে। আজকে আমরা ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ডায়াবেটিস কি বা কাকে বলে, ডায়াবেটিস কত প্রকার ও কি কি?, ডায়াবেটিস এর জটিলতা, লক্ষণ, ডায়াবেটিসের প্রতিকার ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আসুন প্রথমেই জেনে নেই ডায়াবেটিস কি বা ডায়াবেটিস কাকে বলে?
সুচীপত্র
- ডায়াবেটিস কাকে বলে?
- ডায়াবেটিস কতো প্রকার ও কি কি?
- টাইপ-১ ডায়াবেটিস কাকে বলে?
- টাইপ-১ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি?
- টাইপ-১ ডায়াবেটিস এর লক্ষণগুলো কি কি?
- টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে?
- টাইপ-১ ডায়াবেটিসকে কিভাবে নিরাময় করা যায়?
- টাইপ ২ ডায়াবেটিস কাকে বলে?
- কি কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়?
- টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো কি কি?
- টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে?
- টাইপ-২ ডায়াবেটিসকে কিভাবে নিরাময় করা যায়?
ডায়াবেটিস কাকে বলে?
ডায়াবেটিস কে মানুষ কয়েকটি নামে চিনে থাকে যেমন বহুমূত্র রোগ, কিংবা মধুমেহ, আর ইংরেজিতে একে বলা হয় Diabetes Mellitus.
ডায়াবেটিস মূলত একটি হরমোন সম্পর্কিত রোগ। দেহের ভিতরে অগ্নাশয় নামে একটি অঙ্গ আছে যার একটি কাজ হচ্ছে ইনসুলিন হরমোন তৈরি করা।
এই অগ্নাশয় যদি শরীরের চাহিদামত ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা ইনসুলিন পর্যাপ্ত উৎপন্ন হচ্ছে কিন্তু তা কোন কাজ করতে পারছে না অর্থাৎ নিষ্ক্রিয় থাকে তাহলে এই অবস্থাকে বলা হয় বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস।
ডায়াবেটিস কতো প্রকার ও কি কি?
বিজ্ঞানীরা ডায়াবেটিসকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। একটি হলো টাইপ-১ ডায়াবেটিস (Type-I Diabetes) এবং অপরটি হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস (Type-II Diabetes)।
চলুন প্রথমে জেনে নেই টাইপ-১ ডায়াবেটিস কি?
টাইপ-১ ডায়াবেটিস কাকে বলে?
টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের অগ্লাশয়ের মধ্যে থাকা ইনসুলিন উৎপন্নকারী কোষগুলো ধংশ হয়ে যায়, ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন উৎপন্ন করতে পারে না। এই কারণে বাইরে থেকে শরীরের মধ্যে ইনসুলিন প্রবেশ করাতে হয়।
শিশু কিংবা তরুণদেরও টাইপ-১ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টাইপ-১ ডায়াবেটিস মূলত জিনগত কারণে অর্থাৎ জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে।
HLADR 3 এবং HLADR 4 নামের দুটি জিনের কারণে টাইপ-১ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। ১০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে এই প্রকারের ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায়।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস কে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবেটিস বা বাচ্চাদের ডায়াবেটিসও বলা হয়ে থাকে।
বিজ্ঞানীরা টাইপ-১ ডায়াবেটিস কে আবার দুই ভাগে ভাগ করেছেন। একটির নাম দিয়েছেন টাইপ-১-এ ডায়াবেটিস এবং অপরটির নাম দিয়েছেন টাইপ-১-বি ডায়াবেটিস।
টাইপ-১-এ ডায়াবেটিস কাকে বলে?
টাইপ-১-এ ডায়াবেটিস এমন রোগ যা অটোইমিউনিটির জন্য বিটা কোষ ধংশের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
টাইপ-১-বি ডায়াবেটিস কাকে বলে?
টাইপ-১-বি ডায়াবেটিস ও বিটা কোষ ধংশ হয়ে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে কিন্তু প্রকৃত কারণ এখনো বিজ্ঞানীরা জানতে পারেনি।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি?
এখন পর্যন্ত টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার যথাযথ কারণ জানা যায়নি। তবে কিছু কারণ বিজ্ঞানীরা অনুমান করে থাকেন। চলুন জেনে নেই টাইপ-১ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি?
১. বিজ্ঞানীরা ধারনা করে থাকেন যে, বংশগত কারণে টাইপ-১ ডায়াবেটিস হতে পারে। বংশে কোন ব্যক্তির এই রোগ থাকলে ঐ বংশের যেকোন ব্যক্তির টাইপ-১ ডায়াবেটিস হতে পারে।
২. পরিবেশগত কারণেও টাইপ-১ ডায়াবেটিস হতে পারে আবার বংশগত এবং পরিবেশগত কারণের সমন্বয়েও টাইপ-১ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩. অগ্নাশয়ের বিটা কোষ ইনসুলিন তৈরি করে, বিটা কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ইনসুলিন উৎপাদন হয় না ফলে টাইপ-১ ডায়াবেটিস হয়।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস এর লক্ষণগুলো কি কি?
টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে।
১. ঘনঘন প্রাসাবের চাপ অনুভূত হবে এবং ঘনঘন প্রসাব হতে পারে।
২. পিপাসা বেড়ে যেতে পারে।
৩. প্রচণ্ড ক্ষুধা অনুভূত হতে পারে।
৪. মিষ্টি কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
৫. দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে?
টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি নিম্নলিখিত জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে-
১. ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস হতে পারে।
২. ননকিটোটিক হাইপারওসোমোলার কোমা হতে পারে।
৩. হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।
৪. দীর্ঘদিনের টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ফলে স্ট্রোক হতে পারে।
৫. কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে এমনকি কিডনি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৬. পায়ে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল হয় না বলে পায়ের আলসার হতে পারে।
৭. চোখে ঝাপসা দেখা এবং চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৮. দীর্ঘদিন ধরে ইনসুলিন গ্রহণের ফলে শর্করার পরিমাণ কমে গিয়ে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।
টাইপ-১ ডায়াবেটিসকে কিভাবে নিরাময় করা যায়?
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের কোন প্রতিকার বা নিরাময় করার এখনও বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেনি। তবে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হবে।
ইনসুলিন ইনজেকশন অথবা ইনসুলিন পাম্প এর মাধ্যমে নেয়া যেতে পারে।
১. নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ইনসুলিন গ্রহণ করলে এই রোগকে দমিয়ে রাখা যায়।
২. খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ফ্যাট এবং শর্করা জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করা উচিৎ।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করেও এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৪. নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করে টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
আসুন এখন জেনে নেই, টাইপ-২ ডায়াবেটিস কি এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস কাকে বলে?
টাইপ ২ ডায়াবেটিস কাকে বলে?
পৃথিবীতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর প্রায় ৯০% টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। আর বাকি ১০% রোগী টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের অগ্নাশয়ের ভিতরের কোষগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে কিন্তু সে ইনসুলিনগুলো কোন কাজ করতে পারে না।
কাজ করতে না পারা ইনসুলিন কে বলা হয়ে থাকে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর টাইপ-২ ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে।
আসুন জেনে নেই টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণ কি?
কি কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়?
নিন্ম লিখিত কয়েকটি কারণে মূলত টাইপ-২ ডায়াবেটিস হতে পারে।
১. দীর্ঘদিন অতিরিক্ত মাত্রায় মিষ্টি জাতীয় পানীয় এবং মিষ্টি গ্রহণ করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হতে পারে।
২. খাবারে দুই ধরণের চর্বি যেমন ট্রান্স ফ্যাটি এসিড এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হতে পারে।
৩. দীর্ঘদিন অতিরিক্ত মাত্রায় সাদা ভাত গ্রহণ করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
৪. টাইপ-২ ডায়াবেটিসের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে নিয়মিত ব্যায়াম অথবা শারীরিক পরিশ্রম না করা।
৫. শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে থাকলে কিংবা অতিরিক্ত ওজোন ও মোটা হলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৬. অনেক সময় বংশগত কারণেও টাইপ-২ ডায়াবেটিস হতে পারে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো কি কি?
প্রতিটি রোগের কিছু না কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে তেমনি টাইপ-২ ডায়াবেটিসেরও কিছু উপসর্গ বা লক্ষণ রয়েছে। আসুন জেনে নেয়া যাক টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ বা উপসর্গগুলো কি কি?
১. টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর ঘন ঘন প্রসাব হবে এটিকে বলা হয় পলিইউরিয়া।
২. অতিরিক্ত মাত্রায় পিপাসা লাগবে একে মেডিেকেলের ভাষায় বলা হয় পলিডিপসিয়া।
৩. ঘন ঘন ক্ষুধা অনুভুত হবে একে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় পলিফেজিয়া।
৪. মিষ্টি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহনের প্রতি অতিরিক্ত মাত্রায় আগ্রহ থাকবে।
৫. অনেক খাওয়ার পরেও ওজোন কমে যাওয়া।
৬. অনেক সময় আক্রান্ত রোগী চোখে ঝাপসা দেখতে পারে।
৭. শরীরে চুলকানি হতে পারে
৮. মহিলাদের যোনিতে ঘন ঘন ইনফেকশন হতে পারে।
৯. অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তির স্নায়ুরোগ হতে পারে।
১০. অনেক বেশি দুর্বল অনুভব হতে পারে।
১১. আক্রান্ত ব্যক্তি খুব বেশি ক্লান্তিবোধ করতে পারে।
১২. কাঁটা ঘা সহজে শুকায় না।
১৩. শরীরে খোসপাঁচড়া দেখা দিতে পারে।
অনেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রথম দিকে উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখা নাও যেতে পারে। তবে দুই চার বছর পর উপরোক্ত লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। তবে ডায়াবেটিস নির্ণয়ের পরীক্ষা করালে প্রথম দিকে নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে?
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর নিম্নলিখিত জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে।
১. টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিরাময় অযোগ্য রোগ এবং আক্রান্ত ব্যক্তির আয়ু প্রায় দশ বছর পর্যন্ত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. হার্ট এবং রক্তনালীর বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৩. হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
৪. স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৫. পায়ে রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়ার কারণে অঙ্গহানী হতে পারে এবং এই ঝুঁকি প্রায় ২০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
৬. আক্রান্ত ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে এমনকি অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৭. টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে এমনকি নষ্টও হয়ে যেতে পারে।
৮. আক্রান্ত ব্যক্তির সৃতিশক্তি কমে যেতে পারে।
৯. আক্রান্ত ব্যক্তির চিন্তাশক্তি লোপ পেতে পারে।
১০. যৌনশক্তি কমে যেতে পারে।
১১. চর্মরোগে আক্রান্ত হতে পারে।
১২. ঘনঘন ইনফেকশন হতে পারে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসকে কিভাবে নিরাময় করা যায়?
টাইপ-২ ডায়াবেটিসকে যদিও পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয় কিন্তু কিছু মেডিসিন এবং লাইফস্টাইলের পরিবর্তনের মাধ্যমে টাইপ-২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
আসুন জেনে নেই, কিভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়?
১. যথাযথ পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
২. নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
৩. অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৪. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৫. সাদা ভাত, সাদা আটার রুটি, চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
৬. সরাসরি গ্লুকোজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৭. দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে এ ধরনের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৮. নিয়মিত সবুজ শাক সবজি খেতে হবে।
৯. আলু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কেননা আলুতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। যা রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।
১০. ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক নিয়মিত মেডিসিন নেয়া দরকার।
অলস শরীরে ডায়াবেটিস খুব সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। আর একবার ডায়াবেটিস হয়ে গেলে এর হাত থেকে বাচার উপায় নেই। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।
তাই নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করা, বুঝে শুনে খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিৎ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করলে নানা ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে নিমিষেই।
সুতরাং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ এবং জীবন যাপন একান্তই জরুরী।
বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত আগামীতে দেখা হবে নতুন কোন গুরুত্বপূর্ণ টপিকস নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
আরও পড়ুন,
*লেখাটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো*